সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবেদনপত্রে ত্রুটির অভিযোগে ‘পদ্মাবতী’কে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে শংসাপত্র দেওয়ার আরজি জানিয়েছিল প্রযোজনা সংস্থা। সেই আবেদনও নামঞ্জুর করেছে সিবিএফসি। বাধ্য হয়ে ছবির মুক্তির তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছবির মুক্তি নিয়ে টালবাহানার বিরুদ্ধেই এবার সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি নিয়ে এই বিতর্ককে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, একটি রাজনৈতিক দলের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য সুপরিকল্পিতভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে এভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে। এই ‘সুপার এমারজেন্সি’র কড়া নিন্দা করেছেন তৃণমূলনেত্রী। সারা দেশের চলচ্চিত্র মহলের এক হয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
The #Padmavati controversy is not only unfortunate but also a calculated plan of a political party to destroy the freedom to express ourselves. We condemn this super emergency. All in the film industry must come together and protest in one voice
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) November 20, 2017
[ফের বিতর্কে মারাঠি ছবি ‘ন্যুড’, এবার পরিচালকের বিরুদ্ধে কাহিনি চুরির অভিযোগ]
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মতো ‘পদ্মাবতী’র পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা জানান স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার সবার রয়েছে। কোনও নির্দিষ্ট মতামতের জন্য কারও উপর কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া যায় না। এই আবহে ছবিটি মধ্যপ্রদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহ্বান। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, ছবি রাজ্যে মুক্তি পেলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। আর রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট কয়েকটি দৃশ্য বাদ না দিলে মরুরাজ্যে এ ছবি মুক্তি পাবে না।
[জানেন, কোন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বিচারকদের মন জয় করেছিলেন বিশ্বসুন্দরী মানুষী?]
মরুশহর থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। ছবিতে রানি পদ্মিনীর সম্মানহানি করা হয়েছে। ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। এই অভিযোগে সঞ্জয় লীলা বনশালির ছবির সেটে ভাঙচুর করেছিল কর্ণি সেনা। সে সময় প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছিল ছবিতে রাজপুত শৌর্যকে মোটেও খাটো করে দেখানো হয়নি। এরপরও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে। পোস্টার পুড়িয়ে দেওয়া, প্রেক্ষাগৃহ ভাঙচুর চলতে থাকে। দীপিকার নাক কেটে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। হুমকি দেওয়া হয় তাঁকে পঙ্গু করে দেওয়ারও। নায়িকা-পরিচালকের মুণ্ডচ্ছেদ করার ফতোয়া জারি করা হয়। এতকিছুর পরও ছবির নির্মাতারা পয়লা ডিসেম্বরই মুক্তির দিন ধার্য করে রেখেছিলেন। কিন্তু বাধ সাধল সিবিএফসির সিদ্ধান্ত। অনেকেরই ধারণা, পরিকল্পিতভাবে ছবির মুক্তি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরোটাই রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির জন্য করা হয়েছে। সেই কথাই এদিন উঠে এল মুখ্যমন্ত্রীর টুইটেও।
[বিগ বস প্রতিযোগীর বেলাগাম রোমান্স দেখে এ কী হাল হল তাঁর বাবার?]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.