সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টলিউডে তাঁর জার্নির কথা বলতে বললেই তিনি বলেন দর্শকদের ইচ্ছেতেই তিনি দীপক চক্রবর্তী থেকে চিরঞ্জিৎ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু তিনি মনেপ্রাণে দীপককে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন যাকে নতুন করে ছবির দুনিয়ায় আবিষ্কার করেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তাঁর হাত ধরেই কামব্যাক করেন টলিউডের সুপারস্টার চিরঞ্জিৎ। জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসে একেকটি ছবিতে ধরা দিচ্ছেন একেক ধরনের চরিত্রে। বাংলা সিনেমা বিগত কয়েক দশকেও তাঁকে এতরূপে পায়নি। মুক্তির অপেক্ষায় তাঁর বেশ কয়েকটা ছবি। কিছুদিন আগেই মিউজিক লঞ্চ হয়ে গেল তাঁর নতুন ছবি ‘গুহামানব’-এর। পাশাপাশি সদ্য শুটিং শেষ করলেন নবাগত পরিচালক অর্ণবের ‘বৃষ্টি তোমায় দিলাম’, সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারের শুটিং। এই প্রথম কোনও সাইকিয়াট্রিস্টের চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে।
[জানেন, কোন চরিত্র সবচেয়ে কঠিন ছিল প্রসেনজিতের কাছে?]
সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার নিয়ে নবাগত পরিচালক এলেন, কী শুনে আপনি হ্যাঁ বললেন?
চিরঞ্জিৎ: প্রথম যখন অর্ণব আমাকে গল্পটা শোনায়, আমার প্রথমেই গল্পটা খুব ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছিল। গল্পের অনেক শেড রয়েছে। বিশেষ করে আমি যে চরিত্রটা করেছি, সেটা খুবই আমার কাছে ইন্টারেস্টিং লেগেছে।
গল্পটা কী নিয়ে?
চিরঞ্জিৎ: আমি একজন সাইকিয়াট্রিস্ট ও আমার ছেলে একজন পুলিশ অফিসার। আমার এক মেয়েও ছিল। কিন্তু আমি তাঁকে সময় দিতে পারতাম না, পরবর্তীকালে সেই মেয়ের মৃত্যুর জন্য আমি নিজেকেই দায়ী করতাম। এবং সেইজন্যই মেয়ের মৃত্যুর পর আমি কাজকর্ম ছেড়ে দিই, চুপচাপ হয়ে যাই। এক অর্থে নিজেকে গুটিয়ে নিই। এরপর একদিন আমার ছেলে এসে আমাকে একটি কেসের কথা জানায়। কেসটি হল, একটি মেয়েকে ধরা হয়েছে, যে চারটি খুন করেছে কিন্তু সে কিছুতেই খুনের কথা স্বীকার করছে না। সেই মেয়েটির চরিত্রে দেখা যাবে জয়া আহসানকে। সমস্ত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও মেয়েটি কেন অস্বীকার করছে তা জানতেই আমার ছেলে চায় যে আমি ওই মেয়েটির সঙ্গে দেখা করি ও তার সঙ্গে কথা বলি। কারণ সবাই মনে করছে মেয়েটির দ্বৈত সত্ত্বার সমস্যা রয়েছে।
[সাহসী দৃশ্য নিয়েই সেন্সরের ছাড়পত্র পেল পহেলাজ নিবেদিত ‘জুলি ২’]
জয়া এহসানের সঙ্গে কাজ করলেন। কেমন ছিলেন জয়া?
চিরঞ্জিৎ: এককথায় ভীষণ ভাল। অসম্ভব সিরিয়াস একজন অভিনেত্রী। সবসময় আমার থেকে নানারকমের পরামর্শ চাইত। আমি সামান্য সাহায্য করতে পেরেছি। আমাদের অল্পদিনের কাজ ছিল একসঙ্গে। খুব বেশি সিন নেই। দুদিনই শুট করেছি।
ছবির নামটা খুব ইন্টারেস্টিং।
চিরঞ্জিৎ: হ্যাঁ ছবির নামটা অনেক ভেবে রেখেছে। বেশ ক্যাচি একটা নাম। এখন কিন্তু খেয়াল করবে ছবির নামগুলো বেশ ভাল হচ্ছে। এই নামটাও আমার বেশ পছন্দ হয়েছে।
সাইকিয়াট্রিস্টের চরিত্র। আপনি সব চরিত্র নিয়েই পড়াশোনা করেন তো এবারও কিছু রেফারেন্স ছিল?
চিরঞ্জিৎ: না, সেরকম কিছু না। সাইকোলজি নিয়ে আগেই কিছু পড়েছিলাম, বাকি সাধারণ জ্ঞানের উপরেই হয়ে গিয়েছে। তবে হ্যাঁ, অ্যাবি সেন ছবিতে আমি যখন সায়েন্টিস্ট হয়েছিলাম তখন ওখানে যেমন বিশেষ কিছু ইনপুট ছিল যা স্বাভাবিকের থেকে একটু বেশি। এখানেও আমি চরিত্রটা নিয়ে কিছু এক্সপেরিমেন্ট করেছি। এই লোকটি ছেলের সঙ্গে যখন কথা বলে তখন সে একরকম আবার যখন জয়ার সঙ্গে কথা বলে তখন সে আরেকরকম। ছবি দেখলেই সেটা বুঝতে পারবে দর্শক।