সদ্য অল্ট বালাজির ওয়েব প্ল্যাটফর্মে শুরু হয়েছে ‘বেকাবু’-র স্ট্রিমিং। সাইকো-থ্রিলার ঘরানার এই ওয়েব সিরিজের মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। বলিউডে পা রেখেছেন ২০১৫ সালে। সৌজন্য ঐশ্বর্য রাই বচ্চন-ইরফান খান অভিনীত ছবি ‘যজবা’। তবে, একতা কাপুরের হাত ধরে এই বঙ্গতনয়া আপাতত ঝড় তুলেছেন অল্ট বালাজির ওয়েব প্ল্যাটফর্মে। ‘বেকাবু’-র ট্রেলার মুক্তির পর হিল্লোল তুলেছে পুরুষ হৃদয়ে। কলকাতার স্ট্রিটফুড-প্রীতি থেকে একতার ‘বেকাবু’, এই সব কিছু নিয়ে ফোনালাপে অকপট আড্ডায় মাতলেন প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। শুনলেন সন্দীপ্তা ভঞ্জ।
অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে.. তারপর বলিউডে পদার্পণ থেকে একতার হাত ধরে এখন অল্ট বালাজির ‘বেকাবু’তে..
– হ্যাঁ, ২০১৩-তে তামিল ছবি দিয়ে ডেবিউ করি। তারপর দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকগুলো ছবি করেছি। তবে, বলিউডের সঙ্গে পরিচয় হয় ২০১৫ সালে ‘জজবা’ ছবি দিয়ে। যেই ছবিতে ঐশ্বর্য রাই বচ্চন, শাবানা আজমী, ইরফান খান এবং জ্যাকি শ্রফের মতো অভিনেতারা ছিলেন। তারপর বেশ কিছু ওয়েব সিরিজে অভিনয় করি। যেখান থেকে একতার নজরে আসি। ব্যস, তারপর অল্ট বালাজির সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব পাই।
‘বেকাবু’-র আগেও তো একতার সঙ্গে কাজ করেছেন…
– হুম। একতার সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় কাজ। এর আগে অল্ট বালাজির ‘বারিশ’ ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছি। ওটা শেষ হতেই ‘বেকাবু’-র প্রস্তাব পাই। চরিত্রটা মনে ধরে। তাই সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যাই।
ট্রেলার দেখে মনে হল ‘বেকাবু’ সাইকো-থ্রিলার গল্প। আপনাকে কীরকম চরিত্রে দেখা যাবে?
– আমার চরিত্রের নাম ‘কস্টি’। খুব চালাক-চতুর মেয়ে ‘কস্টি’। পুরুষদের মোহিত করে তাদের হৃদয় হরণ করতে যার জুড়ি মেলা ভার। তার কথাবার্তায় খুব সহজেই ছেলেরা প্রেমে পড়ে যায়। বলা ভাল, ফেঁসে যায়। সেক্সি খলনায়িকা! আমার বিপরীতে রাজীব সিদ্ধার্থ, যাকে ‘বেকাবু’-তে কিয়ান রায় নামে এক লেখকের চরিত্রে দেখা যাবে। সে আমার প্রেমে পড়ে যায়। প্রেম-ধোকা-ব্ল্যাকমেইল… এভাবেই এগোয় গল্প। বাকিটা বলব না। তবে হ্যাঁ, ‘কস্টি’ চরিত্রটা বেশ ইন্টারেস্টিং!
‘বেকাবু’-কে তিনটি শব্দে ব্যখ্যা করতে হলে কী বলবেন?
– রোমাঞ্চকর, রোমহর্ষক, ইন্টারেস্টিং।
আপনার বেড়ে ওঠা কানাডায়, তো মন থেকে কতটা বাঙালি আপনি?
– ইয়ে… ‘সিটি অফ জয়’! আতিথেয়তাটাই অন্যরকম। কলকাতায় যাওয়ার কথা শুনলেই মনটা খুশি হয়ে যায়। আমি যদিও কলকাতায় সেভাবে কখনও থাকিনি। আমার মা-বাবা আদতে জন্মসূত্রে কলকাতার। আমার বেশ ক’জন আত্মীয়-স্বজনও রয়েছেন ওখানে। তবে হ্যাঁ, কানাডাবাসী হলেও আমার মা-বাবা কিন্তু সবসময়েই বাঙালি সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন নিজেদের মধ্যে। বাংলা সংস্কৃতি নিয়ে চর্চা, বাঙালি রান্না, বিদেশে থাকলেও আমাদের বাড়িতে এরকম পরিবেশই আমার মধ্যেকার বাঙালিপনাটা জাগিয়ে রেখেছে।
[আরও পড়ুন: ঠাকুরদা মারা যাওয়ার পর দিনই পার্লারে! কটাক্ষের শিকার কাজলের মেয়ে ]
আর বাংলায় কথা বলা…
– আমি বাংলা বলতে পারি। তবে, সেভাবে বলা হয়ে ওঠে না। বাঙালি লোক পেলেই দু’-চারটে কথা বলে ঝালিয়ে নিই বাংলাটা।
কলকাতা বললেই প্রথমে মাথায় কী আসে?
– কলকাতা বললেই খাবারের গন্ধ পাই। ফুচকা, রোল, বিরিয়ানি, মিষ্টি দই। যদিও মিষ্টি খুব একটা খেতে পছন্দ করি না। কিন্তু, মিষ্টি দই পেলে ছাড়ি না।
খাদ্যরসিক বাঙালি হিসেবে নিজেকে দশে কত নম্বর দেবেন?
– নম্বর জানি না। তবে, মা বাড়িতে ইলিশ ভাপে-পাতুড়ি আর পাঁঠার মাংস বানালেই হামলে পড়ি।
শেষ কবে কলকাতায় এসেছেন?
– মাস দুয়েক আগেই ঘুরে এলাম।
একতা কাপুরের সঙ্গে কোনও বিশেষ স্মৃতি?
– বেকাবু, বারিশ, বালাজি.. কী মিল না! পরপর দুটো কাজ করছি ওঁর সঙ্গে। খুব ভাল অভিজ্ঞতা। আরও কাজ করতে চাই ওঁর সঙ্গে এটাও আবদার করেছি।
হাতে কোনও বলিউড ছবি রয়েছে?
– টি-সিরিজের ‘হামে তুমসে প্যায়ার কিতনা’ মুক্তি পাচ্ছে জুনের ২৮ তারিখ। প্রেমের গল্প। লেখিকার চরিত্রে অভিনয় করছি।