সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কে জানে কী ছিল সেই চোখের গভীরতায়। মন হারিয়েছিল ভালবাসার সেই তলে, যেখানে ডুবেই সুখ। হেরেই আনন্দ। উদ্দাম, বেপরোয়া, সামাজিকতার কোনও বালাই নেই। নেই রূপের প্রয়োজন। আছে কেবল অজানা টান। চুম্বকের থেকেও বেশি আকর্ষণ সে টানে। শরীর যেখানেই থাক, মন পড়ে থাকবে তাঁর হৃদয়ের অন্দরে। বিচ্ছেদ ভবিতব্য। তবুও প্রেমের গভীরতা সমুদ্রকেও হার মানাতে পারে। এমনই প্রেম ছিল ‘লায়লা মজনু’র। বর্তমান সময় বড্ড বাস্তববাদী। স্বপ্ন দেখার সময় কোথায়? এমন গভীর ভালবাসা কেবল আগের যুগের সম্পত্তি। এই ধারণাকে পালটাতেই আসছে পরিচালক সাজিদ আলির ‘লায়লা মজনু’। নবাগত পরিচালকের পাশে দাঁড়িয়েছেন ইমতিয়াজ আলি ও একতা কাপুর। পরিচালকের মতোই ছবির নায়ক-নায়িকাও তেমন একটা পরিচিত নন। অবিনাশ তিওয়ারি ও তৃপ্তি ডিমরির মতো অচেনা নামের উপর ভরসা রেখেছেন দুই খ্যাতনামা প্রযোজক।
[প্রকাশ্যে ‘লাভরাত্রি’র ট্রেলার, প্রথম ছবিতেই সাবলীল আয়ুষ]
লোকগীতির হাত ধরেই লায়লা-মজনুর কাহিনি যাবতীয় জনপ্রিয়তা। কয়েকশো বছরেও সেই প্রেমগাথা এতটুকু মলিন হয়নি। গল্প সেই পুরনো, কিন্তু প্রেক্ষাপট বর্তমান সময়ের। এই ভাবেই নিজের গল্প সাজিয়েছেন সাজিদ। চিত্রনাট্যের রচনায় ভাইকে সাহায্য করেছেন ইমতিয়াজ আলি।
সাতের দশকে ‘লায়লা মজনু’র কাহিনি পর্দায় তুলে ধরেছিলেন পরিচালক এইচ এস রাওয়াল। সে ছবিতে মজনু হয়েছিলেন ঋষি কাপুর। আর লায়লা রঞ্জিতা কউর। ছবি তেমন না চললেও সাহির লুধিয়ানভির লেখা কথায় মদন মোহনের সুর বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। এবারও কাশ্মীরের পটভূমিতে তৈরি কাহিনি। প্রেমের পাশাপাশি অশান্ত উপত্যকার পরিস্থিতিও দেখানো হয়েছে। সুর দিয়েছেন জয় বড়ুয়া। ছবির মুক্তি সেপ্টেম্বর মাসের ৭ তারিখ।
[ভরা শ্রাবণে ‘বসন্ত’-এর অপেক্ষায় ঋতাভরী চক্রবর্তী]