সুপর্ণা মজুমদার: খবরটা আচমকাই এসেছিল। হেডলাইনটা প্রথমবার দেখার পর নিজের চোখকেই বোধহয় বিশ্বাস করতে পারছিলেন না বেশিরভাগ বাঙালি। সত্যিই তো! হ্যাঁ, সত্যিই, দ্বিতীয়বার পড়েই নিশ্চিন্ত হয়েছিলেন সিনেপ্রেমী জনগণ। এবার অস্কারের দৌড়ে শামিল বাংলা সিনেমা। মূল পর্বের তালিকায় উঠে এসেছে ‘রেড ওলিয়েন্ডা’র্স রক্তকরবী’। এমন বড় খবর তো বড়দিনেই সেলিব্রেট করতে হয়। তাই করলেন ছবির কলাকুশলীরা। সোমবার প্রেস ক্লাবে একত্র হয়ে জানালেন নিজেদের অনুভূতি।
[প্রথম তিনদিনেই ১০০ কোটির ক্লাবে ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’]
শেষটা কী হবে? সে প্রশ্নের উত্তর এখন প্রাসঙ্গিক নয়। কারণ ৯০তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস-এর তালিকায় নির্বাচিত হওয়াটাই বড় ব্যাপার সংগীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্রের কাছে। খবরটা শোনার পর থেকে উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তী। বিষয়টা এখনও স্বপ্নের মতো তাঁর কাছে। স্বপ্নেও এটা ভাবতে পারেননি অভিনেতা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়। স্বপ্নটা প্রযোজক জুটি আশিস ও ঋতুপর্ণার। এই প্রজেক্টের অঙ্গ হতে পেরে খুশি অভিনেতাও। এখনও অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে অভিনেতার রাজেশ শর্মারও। অনেক পরিশ্রম করে সিনেমাটা বানানো হয়েছে। এতদিনে সেই পরিশ্রমের যথাযথ মূল্য মিলল। আর এটাই আগামী দিনে চলার পথে প্রেরণা জোগাবে বলে মনে করেন পরিচালক অমিতাভ ভট্টাচার্য।
[তারকাদের ক্রিসমাস সেলিব্রেশন, দেখুন নানা রঙের মুহূর্ত]
খবরটা পাওয়ার পর থেকেই উচ্ছ্বসিত মুমতাজ। ভাষায় প্রকাশ করে নয়, এটা অনুভব করেই বোঝা যায়। এক্সাইটমেন্ট তো রয়েছেই তার চেয়েও বেশি রয়েছে গর্ব। এটা সবার সঙ্গে সেলিব্রেট করার মতো খবর। তা করতে পেরে আরও গর্বিত অভিনেত্রী।
আনন্দের এই মুহূর্তেও কিছু আলোচনা-পর্যালোচনা-সমালোচনা রয়েছে। তবে তা বরাবরই হয়ে থাকে। আর হতে থাকবেও। একাংশ এই সাফল্য নিয়েও প্রশ্ন তুলবে। তবে তাতে কান দিতে নারাজ টিম ‘রক্তকরবী’। কারণ এই সময়টা সাফল্যের। এই সময়টা বাংলা সিনেমার গর্বের। ভারতীয় সিনেমার গর্বের। আর এটাই উপভোগ করতে চায় গোটা টিম।
[বরেলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি নেওয়া হল না প্রিয়াঙ্কার]