BREAKING NEWS

১৫ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

রাম-সীতার ‘ডিভোর্স’ কি মেনে নেবে সেন্সর? চিন্তায় পরিচালক রঞ্জন

Published by: Sangbad Pratidin Digital |    Posted: December 16, 2017 8:44 am|    Updated: September 19, 2019 12:52 pm

'Ram-Sita divorce' in Bengali film, will CBFC give nod without hesitation

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পদ্মাবতী এখনও সেন্সরের অনুমতির অপেক্ষায় আটকে। IFFI-র দোরগোড়ায় গিয়েও ফিরতে হয়েছিল ‘এস দুর্গা’কে। ঐতিহাসিক চরিত্রদের নাম ব্যবহার করার যে পরিণাম পরিচালকরা ভোগ করছেন, তা দেখে বেজায় চিন্তিত বাঙালির পরিচালক রঞ্জন ঘোষ। কারণ তাঁর ছবি ‘রংবেরঙের কড়ি’-তে ডিভোর্স চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ রাম-সীতা। নাহ, রাম-সীতা এখানে কোনও ঐতিহাসিক চরিত্র নয়। এক সাধারণ উপজাতি স্বামী-স্ত্রীর চরিত্র। যা ফুটিয়ে তুলেছেন সোহম ও অরুণিমা।

[OMG! প্রিয়াঙ্কার মাত্র পাঁচ মিনিটের পারফরম্যান্সের মূল্য এত!]

কিন্তু তাতে কী? যেভাবে ‘এস দুর্গা’ ও ‘পদ্মাবতী’ নিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছিল তাতে নিজের ছবির শংসাপত্র পাওয়া নিয়ে বেশ চিন্তিত পরিচালক। বিশেষ করে এস দুর্গা। প্রথমে নিজের ছবির নাম সেক্সি দুর্গা রেখেছিলেন পরিচালক। কিন্তু বিক্ষোভের চোটে ছবির নাম বদলে এস দুর্গা করা হয়। এরপরও বিতর্ক থেকে মেলেনি রেহাই। IFFI-র সিনেমার তালিকা থেকে তা বাদ দেওয়া হয়। ঘটনার প্রতিবাদে সুজয় ঘোষও ওই ক্যাটাগরির জ্যুরি প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। সম্প্রতি নিজের ছবি নিয়ে দুবাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছিলেন রঞ্জন। সেখানে এস দুর্গাও দেখানোর কথা ছিল। ছবিটি নিজে দেখেছেন পরিচালক। কিন্তু তাতে আপত্তি তোলার মতো কিছুই ছিল না। দুর্গা একজন সাধারণ মেয়ের নাম। যেমন বিভিন্ন ঠাকুরের নামে ছেলে-মেয়েদের নাম দেওয়া হয়ে থাকে। যেমনটা তিনিও করেছেন নিজের রংবেরঙের কড়িতে। সোহমের চরিত্রের নাম রাম আর অরুণিমা ফুটিয়ে তুলছেন আদিবাসী কন্যা সীতার চরিত্র। ছবিতে মোট চারটি কাহিনি রয়েছে যাতে রয়েছেন চিরঞ্জিৎ, ঋত্বিক চক্রবর্তী, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের মতো অভিনেতারা। ছবির ক্রিয়েটিভ কনসালট্যান্ট অপর্ণা সেন।

[বরফের মাঝে মধুচন্দ্রিমায় মেতে নবদম্পতি বিরাট-অনুষ্কা]

কিন্তু পরিচালকের এখন সবচেয়ে বড় চিন্তা হচ্ছে সেন্সরের শংসাপত্র। ১৮ নভেম্বর ক্যামিলিয়া প্রোডাকশনসের তরফ থেকে কলকাতার সেন্সর অফিসে পাঠানো হয়েছে রংবেরঙের কড়ি। ১১ ডিসেম্বর প্রযোজকদের তরফ থেকে আরও একটি আবেদন পাঠানো হয় ছবিটিকে একটু তাড়াতাড়ি শংসাপত্র দেওয়ার জন্য। আগামী ৩১ ডিসেম্বর জাতীয় পুরস্কারের জন্য ছবি পাঠানোর শেষ তারিখ। তার আগে কী মিলবে সার্টিফিকেট? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে গোটা টিমের মাথায়।

[সানি এলে গণ আত্মহত্যা, বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ঘিরে ধুন্ধুমার কর্নাটকে]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে