সুপর্ণা মজুমদার: বিদ্যুৎ জামওয়ালের (Vidyut Jammwal) মানেই অ্যাকশন প্যাক্ড সিনেমা। সেই আশা নিয়েই ডিজনি প্লাস হটস্টারে ‘সনক’ (Sanak) দেখতে শুরু করেছিলাম। বাঙালি দর্শক হিসেবে বাড়তি আকর্ষণ ছিলেন রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra)। নিরাশ করেননি অভিনেত্রী। প্রথম হিন্দি ছবিতেই বলিউড নায়কের পাশে আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন। তবে এ ছবি শুধুমাত্র অ্যাকশনপ্রেমীদের জন্য। তার বেশি কিছু আশা করা বৃথা।
বিভান (বিদ্যুৎ জামওয়াল) ও অংশিকার (রুক্মিণী মৈত্র) রোম্যান্স দিয়ে কাহিনি শুরু হয়। আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে অংশিকা। স্ত্রীকে বাঁচাতে টাকা প্রয়োজন। টাকা জোগাড় করতে নিজের ফ্ল্যাট পর্যন্ত বিক্রি করে দেয় বিভান। ভালভাবেই অস্ত্রোপচার হয়ে যায়। কিন্তু তারপরই বিপত্তি, যেদিন হাসপাতাল থেকে অংশিকার ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল, সেদিনই সেখানে দুষ্কৃতীদের হামলা হয়। পুরো হাসপাতালের দখল নিয়ে নেয় সাজো (চন্দন রায় সান্যাল) ও তাঁর টিম। তারপর? তা সময় ওয়েব প্ল্যাটফর্মেই দেখে নেবেন।
কাহিনিতে কী হতে চলেছে তা জানতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন এবং বিদ্যুৎ জামওয়ালের কিছু অ্যাকশন মুভ দেখার সুযোগ। তবে রোমান্টিক দৃশ্যে বিদ্যুৎকে বড্ড দুর্বল মনে হয়েছে। রুক্মিণী প্রথম হিন্দি ছবিতে প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। বাংলায় হাতে গোনা কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন রুক্মিণী। বেশিরভাগই দেবের সঙ্গে। তবে তাঁর অভিনয়ের জোর রয়েছে। তা উপযুক্ত সুযোগ পেলে আরও ধারালো হয়ে উঠতে পারে।
ভিলেনের ভূমিকায় চন্দন রায় সান্যাল অনবদ্য। অভিনয়ের দিকটি তিনিই নেতৃত্ব দিয়েছেন বলা যায়। পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নেহা ধুপিয়া। এসিপি হিসেবে তাঁর একটু শার্পনেস থাকা উচিত ছিল বলেই মনে হয়েছে।
গোটা কাহিনি যেন বিদ্যুৎ জামওয়াল ও তাঁর মার্শাল আর্টের দক্ষতার কথা মাথায় রেখে তৈরি করেছেন পরিচালক কনিষ্ক বর্মা। বাকি দৃশ্যগুলি যেন কেবল পাজল মেলানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। মোটের ওপর যদি অ্যাকশন দেখতে ভালবাসেন, তাহলে এ ছবি সপ্তাহান্তে ডিজনি প্লাস হটস্টারে দেখে নিতেই পারেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.