Advertisement
Advertisement
প্রমিস

ভালবাসার টান আলগা করতে পারে না দূরত্ব, সম্পর্কের এক অন্য গল্প শোনাল ‘প্রমিস’

প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী।

Short film Promise says a different kind of love story
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:February 15, 2020 4:01 pm
  • Updated:February 15, 2020 4:01 pm

ভালবাসা ও একাত্মতার এক অনন‌্য গাথা। শর্ট ফিল্মে সব‌্যসাচী চক্রবর্তী। লিখছেন সোমনাথ লাহা।

দু’টি হৃদয়ের নিবিড় যোগসূত্রই জন্ম দেয় ভালবাসার। পারস্পরিক হৃদ‌্যতা এবং একাত্মবোধেই পূর্ণতা পায় ভালবাসার রূপ। সে ক্ষেত্রে দু’টি মানুষের মধ্যে থাকা দূরত্ব তো বটেই এমনকী কোনও একটি মানুষের উপস্থিতি বা অস্তিত্বও ভালবাসার পথে অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে না।

Advertisement

এহেন বিষয় ভাবনাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত পরিচালক দীক্ষিতা দাসের বাংলা স্বল্প দৈঘ্যের ছবি তথা শর্টফিল্ম ‘প্রমিস’। ছবির কাহিনি কেন্দ্রীভূত হয়েছে একজন বাবা, মেয়ে ও মেয়েটির ভালবাসার মানুষ বা প্রেমিককে ঘিরে। এই গল্পের মধ্যে দিয়ে ভালবাসা এবং বাসনার প্রতি ট্রিবিউট জানিয়েছেন পরিচালক।

Advertisement

দূরত্ব কখনওই ভালবাসার থেকে বড় হয়ে উঠতে পারে না। এই বিষয়টিকেই এই ছবির মধ্যে দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন দীক্ষিতা। ছবিতে মুখ‌্য চরিত্রে রয়েছেন সব‌্যসাচী চক্রবর্তী, উদিতা দাম, বিপ্লব কেশরী মোহান্তি।

[ আরও পড়ুন: নিজেদের গল্প বলতে বড়পর্দায় জুটি বাঁধছেন অপরাজিতা ও শাশ্বত ]

short-film

কাহিনি আবর্তিত হয়েছে এক মানসিকভাবে উন্মত্ত প্রায় মেয়ে জয়িতাকে (উদিতা) কেন্দ্র করে। সে তার ভালবাসার মানুষ নীলের (বিপ্লব কেশরী) তার প্রতি পরিবর্তিত আচরণকে মেনে নিতে না পারায় মনের দিক থেকে আহত হয়। এমতাবস্থায় জয়িতা এই বিষয়টি নিয়ে তার বাবা উদিতের (সব‌্যসাচী) সঙ্গে হৃদয়গ্রাহী আলোচনায় বসে। কারণ উদিত শুধুমাত্র জয়িতার বাবা নয়, সে তার জীবনে বন্ধুর মতোই। ঘটনাচক্রে উদিত সেই সময় জয়িতার সঙ্গে ভ্যালেন্টানস ডে উদযাপনের প্রস্তুতিতে ব‌্যস্ত ছিল। কিন্তু ভ‌্যালেন্টাইন ডে’র দিন নিজের মেয়েকে বিবর্ণ ও দুঃখিত দেখে সে তার মেয়েকে একটি গল্প বলে। গল্পটি মানুষের মানসিকতার বিষয়ে। সেটির যোগসূত্র রয়েছে ভালবাসার সঙ্গে শারীরিক নৈকট্যের। সেই গল্পটি এমনই যেখানে রোম‌্যান্স শেষ কথা নয়। ভালবাসা সেখানে শারীরিক অস্তিত্ব বা উপস্থিতির থেকে বড়। এর মধ্যে দিয়ে সম্পর্কের সূক্ষ্ম পার্থক‌্যগুলি বেরিয়ে আসার পাশাপাশি কিভাবে এই অগভীর নয় এমন সম্পর্কগুলির সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হয় এবং সেগুলিকে সংশোধন করে জীবনের পথে সামনে এগিয়ে চলতে হয় সেই কথাই বর্ণিত হয়।

তারপর কি হয় জয়িতা জীবনে? তার জীবন কি সঠিক পথে প্রবাহিত হয়? জয়িতার বাবা উদিত কোন গল্পের কথা বলে তাকে? এই সব প্রশ্নের উত্তর জানার জন‌্য দেখতেই হবে এই ছবি।

ভি শট অ‌্যান্ড বিকেএম স্টুডিওস প্রযোজিত এই ছবির কাহিনি, চিত্রনাট‌্য ও সম্পাদনা করেছেন পরিচালক স্বয়ং। এমনকী ছবির গীতিরচনার দায়িত্বটিও পালন করেছেন দীক্ষিতা। ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন অভিলাষ মোহান্তি। প্লে ব‌্যাকে রয়েছেন অভিলাষ মোহান্তি ও বাগ্মীদেবা ভট্টাচার্য। ছবির সংগীত অ‌্যারেঞ্জমেন্ট ও প্রোগ্রামিংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন আশু চক্রবর্তী।

[ আরও পড়ুন: তামিল ছবি থেকে ‘টোকা’ হয়েছে ‘প্যারাসাইট’! কাঠগড়ায় অস্কারজয়ী পরিচালক ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ