Advertisement
Advertisement

Breaking News

সোনু

লকডাউনে নেই কাজ, ‘মুন্না ভাই’-এর অভিনেতার দিকে সাহায্যের হাত বাড়ালেন সোনু সুদ

সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে এই অভিনেতার 'জাদু কি ঝাপ্পি' ভারতীয় সিনেমার অন্যতম চর্চিত দৃশ্য।

Sonu Sood to help Munna Bhai MBBS actor Surendar Rajan to go back home
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:June 15, 2020 6:50 pm
  • Updated:June 15, 2020 6:50 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’-এর মেডিক্যাল কলেজের সেই ঝাড়ুদারকে মনে আছে? যাকে ‘জাদু কি ঝাপ্পি’ দিয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত (Sanjay Dutt)? পর্দার সেই মাকসুদ ভাই, রিয়েল লাইফে সুরেন্দ্র রাজনের (Surendra Rajan) পরিস্থিতি এখন বেশ খারাপ। লকডাউন কেড়েছে তাঁর কাজ। ফলে পকেট ফাঁকা। শুটিং করতে এসে মুম্বইয়ে আটকে পড়েছে তিনি। বাড়ি ভাড়া বাকি পড়ে রয়েছে তিন মাসের। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়াও জুটছে না। তাই শেষমেশ কার্যত বাধ্য হয়েই সোনু সুদের দ্বারস্থ হলেন অভিনেতা।

সুরেন্দ্র রাজনকে মানুষ নামে না চিনলেও তাঁর অভিনীত চরিত্রগুলো মানুষের মনে দাগ কেটে রয়েছে। তার মধ্যে একটা তো অবশ্যই ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’। এছাড়া ‘দ্য লেজেন্ড অফ ভগত সিং’-সহ একাধিক ছবিতে তিনি গান্ধীজির চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ‘আর…রাজকুমার’ ছবিতে সোনু সুদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন তিনি। তখন থেকেই তাঁরা একে অপরকে চেনেন। মার্চ মাসে একটি ছবির কাজ করতে মুম্বই এসেছিলেন সুরেন্দ্র। তারপরই করোনা সংক্রমণ রোধ করতে লকডাউন ঘোষণা করে দেয় সরকার। মুম্বইয়েই আটকে পড়েন তিনি।

Advertisement

surendra rajan 1

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ‘অন্য কেউ এভাবে ধোনির চরিত্র ফোটাতে পারতেন না’, স্মৃতিচারণায় সুশান্তের সহ-অভিনেতা রাজেশ শর্মা ]

প্রথম দিকে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। তারপর পকেটে টান পড়ে। কাজ নেই। ফলে পারিশ্রমিকও নেই। হাতে যা টাকা এনেছিলেন তাও শেষ হয়ে যায়। ক্রমশ বাকি পড়তে থাকে বাড়ি ভাড়া। খাবারও জোটে না। শেষে এক পরিচিত তাঁকে সাহায্য করেন। ৩ মাসের বাড়ি ভাড়া বাবদ ৪৫ হাজার টাকা দেন তিনি। আর খাবার? সে জন্য আরএসএসের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অভিনেতা। জানিয়েছেন, আরএসএসের সদস্যরা তাঁকে রেশন দিয়ে সাহায্য করেছেন।

কিন্তু এভাবে কতদিন? কাজ কবে শুরু হবে, তার কোনও স্থিরতা নেই। টাকা না থাকায় বাড়ি ফেরাও সম্ভব হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এলেন সোনু সুদ। তিনি সুরেন্দ্রর দুর্দশার কথা জানতে পেরে ১৮ জুনের আগে তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। সুরেন্দ্র থাকেন মধ্যপ্রদেশের সাতনাতে। সুরেন্দর বলেছেন, “সোনু সুদের কাজের কোনও তুলনা নেই। একজন মানুষ এভাবে কাজ করেন দেখে আমি অবাক হয়েছি। কারওর মধ্যে যদি মানুষকে সাহায্য করার দুর্দমনীয় ইচ্ছা না থাকে, তবে তিনি এভাবে কাজ করতে পারেন না। তিনি অসাধারণ কাজ করছেন। সোনু সুদের মতো মানুষের দেখা দুনিয়ায় খুব কম পাওয়া যায়।” সুরেন্দ্র এও বলেছেন, তিনি সঞ্জয় দত্তকে ছেলের মতো দেখেন। তাঁর সঙ্গে কথা যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু সাহায্যের কথা বলতে পারেননি। তিনি কারওর উপর নির্ভরশীল হতে চাননি।

[ আরও পড়ুন: ‘অবসাদে ভুগে আমিও আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলাম’, সুশান্তের প্রয়াণে পর শোকাহত পার্ণো ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ