সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কারও কাছে তিনি ভাল বন্ধু, কারও দাদা, কারও প্রেমিক কিন্তু গোটা বাঙালি জাতির কাছে তিনি স্বপ্নের নায়ক, মহানায়ক উত্তম কুমার। তাই তাঁকে ঘিরে স্বপ্ন শুধু তাঁর প্রজন্মের মহিলারাই দেখেননি, তাঁকে ঘিরে স্বপ্নের জাল বোনেন এই প্রজন্মের অভিনেত্রীরাও। যদি সুযোগ পেতেন উত্তম কুমারের বিপরীতে অভিনয় করার তাহলে কী করতেন তাঁরা। কেউ রান্না করে খাওয়াতেন কেউ আবার ওঁর দিকে তাকিয়েই সময় কাটিয়ে দিতেন। কিন্তু প্রেমে পড়তেন সবাই, একবাক্যে স্বীকার করলেন এই প্রজন্মের জনপ্রিয় তিন অভিনেত্রী।
[বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন অভিনেত্রী তমান্না ভাটিয়া!]
সায়নী ঘোষ- আমার জীবনের অন্যতম বড় দুঃখ যে আমি উত্তম কুমারের সময়কালীন অভিনেত্রী নয়। ঐ যে ওর হাসি, তাতেই একটা অন্যরকম ব্যাপার রয়েছে। তবে শুধু হাসি নয়, স্টাইলেও মাত দিয়ে দিতেন সবাইকে। ব্যক্তিত্ব আর অভিনয়ের এক অনবদ্য প্যাকেজ তিনি। যদি সুযোগ পেতাম উত্তম কুমারের বিপরীতে অভিনয় করার তাহলে ওঁর দিকে তাকিয়েই আমার সময় কেটে যেত, অভিনয় করতে পারতাম বলে মনে হয় না। এই ইন্ডাস্ট্রিতে উনিই একমাত্র মহানায়ক। আমাদের জেনারেশন শুধু কেন এর পরের জেনারেশনও মজে থাকবে উত্তম কুমারের।
ছবি সৌজন্য: ফেসবুক (সায়নী ঘোষ)
তনুশ্রী চক্রবর্তী- উত্তমকুমারের সঙ্গে একটা ছবিতে অভিনয় করতে পারলে অবশ্যই প্রেম করতাম। আর যদি সত্যিই প্রেম করতে পারতাম তাহলে অজ্ঞান হয়ে যেতাম। আসলে তিনি যে সময়টা তৈরি করেছিলেন বাংলা ছবিতে। সেটা একটা স্বর্ণযুগ। তবে আমার মনে হয়, উত্তম কুমার তাঁর সময়ে যে ভালবাসা পেয়েছেন যে সম্মান পেয়েছেন আমরা তাঁকে আরও বেশি দাম দিই। এই প্রজন্ম তাঁকে মিস করে কারণ যেভাবে তিনি জনসাধারনের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন, সেভাবে আজ পর্যন্ত বোধহয় কেউ পৌঁছতে পারেনি জনমানসে।
ছবি সৌজন্য: ফেসবুক (তনুশ্রী চক্রবর্তী)
সোহিনী সরকার- আমি তো আর প্রকৃতির বাইরে নই। তাই উত্তম কুমারকে হাতের কাছে পেলে অবশ্যই প্রেমে পড়তাম। হয়তো কেমিস্ট্রিটা সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের মতো, কিংবা সুপ্রিয়া দেবীর মতো কিংবা হয়তো সুচিত্রা সেনের মতো হতো। তবে এটুকু বলতে পারি উনি আমাকে উপেক্ষা করতে পারতেন না (হাসি)। অবশ্য ওঁর প্রেমে পড়লে এরকম বর্ষার দিনে একাকীত্বে ভুগতে হত। ওঁনার মতো সুদর্শন, আকর্ষণীয় পুরুষ আমি আর দেখিনি। সমসাময়িক হলে হয়তো উত্তম-সোহিনী জুটি হত একটা। দুজনের নামই তো তিন অক্ষরের। ভালই মানাতো। আরেকটা জিনিস কিন্তু হোতই সেটা হল, আমি রান্না করতে ভালবাসি, আর উনি খেতে ভালবাসতেন। সেটে প্রায়দিনই রান্না করে নিয়ে যেতাম আমি। আর আমার হাতের রান্না খেয়ে নিশ্চয় আমার প্রেমে পড়তেন বাঙালির স্বপ্নের নায়ক উত্তম কুমার।
ছবি সৌজন্য: ফেসবুক (সোহিনী সরকার)