Advertisement
Advertisement

Breaking News

আবিরের পুজো মানে শোভাবাজার রাজবাড়ি, যিশুর পুজো কাটে অন্যভাবে

পুজো নিয়ে কী বললেন আবির, যিশু?

Abir and Jishu recalls their Pujo memory
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:October 4, 2018 3:25 pm
  • Updated:August 9, 2019 12:34 pm

প্রিয় পুজো প্যান্ডেলে কেউ আজও খুঁজে পান হারিয়ে যাওয়া মা-বাবা-ভাইকে। কারও মনে পড়ে জীবনের প্রথম হার্টব্রেক। নিজেদের প্রিয় পুজো নিয়ে নস্ট্যালজিক তারকারা। শুনলেন ইন্দ্রনীল রায়।

আবির চট্টোপাধ্যায়

Advertisement

প্রিয় পুজো: শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো

Advertisement

তখন জয়পুরিয়া কলেজে পড়ি। পাশেই শোভাবাজার রাজবাড়ি। পুজোর এক মাস আগে থেকেই মনটা উড়ু-উড়ু। কলেজে যাই-আসি ঠিকই, কিন্তু খালি দিন গুনি, কবে পুজোর ছুটিটা পড়বে। এ রকম একটা মনের অবস্থাকে আরও চঞ্চল করে দিত শোভাবাজার রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। কলেজ থেকে বেরিয়ে বেরিয়ে আমরা প্রায়ই দেখে আসতাম ঠাকুর গড়ার কাজ কতটা এগোল। তার পর দ্বিতীয়া থেকে ছুটি। সে দিন কলেজ থেকে বেরিয়ে সবাই হইহই করে ওই একটা ঠাকুর দেখেই যে যার নিজের বাড়ি যেতাম। ইন ফ্যাক্ট, এটা আমাদের সবার এত পছন্দের পুজো ছিল যে পুজোর মধ্যে একদিন কলেজের সবাই আবার করে শোভাবাজারের ঠাকুর দেখতে আসতাম। খালি মনে হত, এটা আমাদের পুজো। বিয়ের পর আমার স্ত্রী নন্দিনীকে নিয়েও গেছি। তবে লাস্ট তিন-চার বছর সত্যি আর যাওয়া হয় না। কিন্তু শোভাবাজার রাজবাড়ি রিমেনস মাই মোস্ট ফেভারিট পুজো।

সুপারহিট ছবির নায়িকাদের কেন সাদা শাড়ি পরাতেন রাজ কাপুর? ]

যিশু সেনগুপ্ত

প্রিয় পুজো: লেক সর্বজনীন দুর্গোৎসব

সারা বছর কাজের মধ্যে থাকি। এই শুটিং, সেই শুটিং, আজকে মুম্বই, কালকে হায়দরাবাদ, বন্ধুদের সঙ্গে বাড়িতে আড্ডা, খেলা দেখা। মনে রোজই পড়ে মা-বাবাকে, মন খারাপও হয়। কিন্তু এত দৌড়োদৌড়ির মধে্য কোথাও যেন সে ভাবে মিস করার সময় পাই না। সেই সুযোগটাই এত আনন্দের মধ্যে আমি পাই পুজোর সময়। পাই আমাদের লেক টেরেসের লেক সর্বজনীন দুর্গোৎসবের আনাচে কানাচে। ওটাই আমার প্রাণের পুজো। ওখানেই পুজোর ক’দিন আমার ছোটবেলার বাবাকে দেখতে পাই, ওখানেই দেখি পাড়ার কাকিমাদের সঙ্গে মা অঞ্জলির জোগাড়যন্ত্র করছে। চারিদিকে কত স্মৃতি। মনে পড়ে একসময় পুজোটা বন্ধ হয়ে যেতে বসেছিল। সেই সময় আমার মা পাড়ার সব মহিলার সঙ্গে পুজোটা আবার করে শুরু করে। তার পর মায়ের চলে যাওয়ার পরেও একটু অসুবিধা হচ্ছিল পুজোটা চালাতে। সেই সময় পাড়ার বড়দের সঙ্গে বসে আমরা ঠিক করি, কিছুতেই পুজো বন্ধ করা যাবে না। ওই পাড়ায় একটা গেস্টহাউস আছে। পুজোর ক’দিন আমি, নীলাঞ্জনা, আমার দুই মেয়ে ওই গেস্টহাউসে শিফট করে যাই। গত বছর হয়নি, কিন্তু তার আগের বছর অবধি ওটাই ছিল আমাদের রুটিন। ওই পুজোয় আমিও এতটাই ইনভলভ্‌ড থাকি যে অন্য কোথাও ঠাকুর দেখতে যাওয়া হয় না। আজও ওই পুজোর ভাসানে আমাকে পাবেন, অষ্টমীর ভোগ বিতরণে আমাকে পাবেন। নানা ‘দুষ্টুমি’ তো ওই পুজো প্যান্ডেলের পিছনেই শেখা। আজও সেই দুষ্টুমি চলে। পাড়ার কাকুরা আজও আমাদের বকে। আগে ভয় পেতাম। আজ ওই বকুনিটা খেতেও ভাল লাগে। আজও একটা সময় ঠাকুরের সামনে গিয়ে যখন দাঁড়াই, মনে হয় মা-বাবা তো আমার পাশেই রয়েছে। আমার প্রাণের মানুষ। আমার প্রাণের পুজোর প্যান্ডেলে।

পুজোয় সবচেয়ে বেশি কোন বিষয়টা মিস করেন ইন্দ্রাণী-ইমন-অপরাজিতা? ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ