Advertisement
Advertisement

Breaking News

Nazrul Islam

‘গর্জে উঠুন’, ‘লৌহ কপাট’ বিতর্কে আহ্বান পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের

সকলকে গর্জে ওঠার আহ্বান সাংস্কৃতিক সংস্থার।

West Bengal writers forum protest Rahman version of the song 'karar Oi Louho Kopat'। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:November 11, 2023 2:14 pm
  • Updated:November 11, 2023 2:15 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী গান ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটি নিয়ে এ আর রহমানের (A R Rahman) কাটাছেঁড়ার পর বিতর্ক অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে সকলকে গর্জে ওঠার আহ্বান জানাল সাংস্কৃতিক সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘ। তাদের দাবি, গানটি সিনেমায় ব্যবহার করতে হলে মূল সুর অক্ষুণ্ণ রেখেই তা করতে হবে।

শুক্রবার সংগঠনের সভাপতি পবিত্র সরকার ও সাধারণ সম্পাদক রজত বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাক্ষরিত যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে তার শিরোনাম ‘নজরুলের বিপ্লবী সঙ্গীত চেতনাকে অসম্মানিত করার অভিপ্রায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠুন’।

Advertisement

[আরও পড়ুন: নজরুলকে নিয়ে ‘ইয়ার্কি’ সহ্য করবে না বাঙালি! ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে]

বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, ‘সম্প্রতি ‘পিপ্পা’ নামের একটি হিন্দি সিনেমায় কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টি ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটির এ আর রহমানকৃত রূপ আমাদের নজরে এসেছে। এই নতুন রূপটি শুনলে বোঝা যায় সুরকার এই গানের অর্থ এবং আবেগ সম্পর্কে সম্যক অবহিত না হয়েই সুরটি করেছেন। এই গান আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের হৃদয়ে অবস্থিত ছিল। এই গান গেয়ে মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ও অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কণ্ঠে গীত হত এই গান। কপিরাইট না থাকার সুযোগে এবং শিল্পীর স্বাধীনতার আড়ালে এই ধরনের গানগুলির ওপর বাণিজ্যিক সিনেমার স্থূল হস্তাবলেপন অত্যন্ত আপত্তিকর। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং দাবি করছি গানটি যদি সিনেমায় ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে তা মূল সুরটিকে অক্ষত রেখেই করা হোক।’

Advertisement

উল্লেখ্য, ‘রোজা’ থেকেই রহমানের সুরের জাদু বঙ্গদেশেও একই রকম ভাবে ছড়িয়ে গিয়েছে। সেই মানুষটিই এমন ভাবে নজরুলের গানকে বিকৃত করায় অসন্তুষ্টি, ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। ‘পিপ্পা’ নামের এক ছবিতে ব্যবহৃত হয়েছে নজরুলের (Nazrul Islam) গানটি। যে রহমান (A R Rahman) ‘বন্দে মাতরম’ কিংবা ‘জয় হো’ সৃষ্টি করেছেন, রবীন্দ্রনাথের ‘চিত্ত যথা ভয় শূন্য’ কবিতায় সুর দিয়েছেন, তিনি কেন নজরুলের গানটির স্পিরিট বুঝতে পারলেন না প্রশ্ন উঠছে। এই অবস্থায় ক্রমেই তীব্র হচ্ছে প্রতিবাদের স্বর।

[আরও পড়ুন: বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে খাবারে বিষ মিশিয়ে খুনের ছক! নেপথ্য কারা?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ