সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্পর্ক বড় অন্য খাতে বয়ে চলে। সে কখন জীবনের কোন বাঁকে কাকে আঁকড়ে ধরে নিশ্বাস নিতে চাইবে, তা বলা খুব কঠিন। এ ব্যাপারে দুইয়ে দুইয়ে চারের চেনা হিসেব মেলে না। সম্পর্ক বয়সের গতে বাঁধা হিসেবও উড়িয়ে দেয় এক ফুঁয়ে। এই সব কিছু নিয়ে একদা শীর্যেন্দু মুখোপাধ্যায় লিখেোছিলেন তাঁর উপন্যাস ‘গুহামানব’। সেই ‘গুহামানব’কে এবার ক্যামেরাবন্দি করলেন পরিচালক পারমিতা মুন্সি।
‘গুহামানব’ বলছে এক শ্বশুরমশাই আর এক বউমার সম্পর্কের গল্প। কিন্তু, এরকম সমাজের অসমর্থিত সম্পর্ক বললেই চোখের সামনে যা যা ভেসে ওঠে, তার কোনও কিছুই ‘গুহামানব’এ মিলবে না। ‘গুহামানব’ তাহলে ঠিক সম্পর্কের কোন সমীকরণ নিয়ে আসছে রুপোলি পর্দায়?
শীর্ষেন্দুর এই উপন্যাসে দেখা যায় তিন মূল চরিত্রকে। তারা অবসরপ্রাপ্ত আর্মি কর্মচারী বটকৃষ্ণ রায়, তার ছেলে সঞ্জয় আর পুত্রবধূ পিঙ্কি। যে কোনও কারণেই হোক, পিঙ্কি প্রথম থেকেই খুব একটা পছন্দ করে না শ্বশুর বটকৃষ্ণকে। তার মনে হয়, এই মানুষটি বিপজ্জনক। তা না হলে সে সারা দিন কেন নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে থাকবে?
কিন্তু ধীরে ধীরে পিঙ্কি বুঝতে পারে, সমাজের চেনা পৌরুষের সংজ্ঞার সঙ্গে তার স্বামী সঞ্জয় খাপ খায় না। সে ভীষণ ভাবেই এক গা বাঁচিয়ে চলা মেট্রোসেক্সুয়াল পুরুষ। পিঙ্কি উপলব্ধি করে, এরকম পুরুষ সে চায় না। সঙ্গে বুঝতে পারে, সে নিজের অজান্তেই ভালবেসে ফেলেছে বটকৃষ্ণকে। একদিন সে এই কথাটা বলেও দেয় বটকৃষ্ণকে। তার পর?
সম্পর্কের এই অন্য সমীকরণের বাকিটুকু তোলা থাক ছবি মুক্তির জন্য। ইতিমধ্যেই ছবিটা ২২তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে। পরে তা মুক্তি পাবে অন্যান্য প্রেক্ষাগৃহে। ছবিতে বটকৃষ্ণের চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। ছবিতে সুর দিয়েছেন কবীর সুমন। নিজের গলায় তিনি একটি গানও গেয়েছেন ছবির জন্য। বাকিটা না-হয় প্রেক্ষাগৃহেই আবিষ্কার করে নেওয়া যাক!