BREAKING NEWS

২৫ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  শুক্রবার ৯ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

দাউদের চাপে ছাড়পত্র দিয়েছে সেন্সর, সিনেমা হল ভাঙচুরের হুমকি কর্ণি সেনার

Published by: Sangbad Pratidin Digital |    Posted: December 31, 2017 4:43 am|    Updated: December 31, 2017 4:48 am

Inspite of CBFC clearence Karni Sena threatens to vandalise theatres showing 'Padmavat'

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাম বদলেছে। কিন্তু কর্ণি সেনার রোষে কোনও বদল নেই। সিবিএফসি-র ছাড়পত্র মেলার পরও তাই হুমকি সংগঠনের। দাবি, যে হলেই সিনেমা চলবে তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। ফলে ফাঁড়া কাটছে না ‘পদ্মাবতী’ ওরফে ‘পদ্মাবত’-এর।

হিন্দু সংগঠনের প্রবল চাপে নতজানু সেন্সর বোর্ড, নাম বদলে যাচ্ছে ‘পদ্মাবতী’র ]

শনিবারই বহুল আলোচিত ছবি ‘পদ্মাবতী’কে মুক্তির ছাড়পত্র দিয়েছে সেন্সর বোর্ড। তবে নাম বদলে তা হয়েছে ‘পদ্মাবত’। এছাড়া বোর্ড নিযুক্ত প্যানেলের সুপারিশ অনুযায়ী, ছবির বেশ কিছু অংশে বদলের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পরিচালক তা মেনেও নিয়েছেন। ফলে দীর্ঘ জটিলতার পর মুক্তির আলো দেখতে চলেছে ছবিটি। কিন্তু কর্ণি সেনার অভিযোগ, ডন দাউদ ইব্রাহিমের চাপেই এরকম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে সেন্সর বোর্ড। এ ছবির মুক্তি দেশের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়। দেশের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তাই রাজস্থানের যে হলেই ছবি চলবে, তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন কর্ণি সেনার প্রেসিডেন্ট সুখদেব সিং গোগামেড়ি।

OMG! নতুন বছরে ছুটি কাটাতে এখানে যাচ্ছেন রণবীর-দীপিকা! ]

মূলত এই কর্ণি সেনার চাপেই গোড়ায় ‘পদ্মাবতী’র মুক্তি পিছোয়। ঘোর বিপাকে পড়েন পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি। পদ্মাবতী ঐতিহাসিক চরিত্র কিনা তা নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যেই ধন্দ আছে। তাই পুরোপুরি ইতিহাসনির্ভর ছবি বানাননি পরিচালক। বরং সুফি কবি মালিক মহম্মদ জায়সির ‘পদুমাবৎ’ কাব্য অবলম্বনেই সাজিয়েছিলেন তাঁর চিত্রনাট্য। কিন্তু মানতে নারাজ ছিল কর্ণি সেনা। তাদের দাবি ছিল, এ ছবি রাজপুতদের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। বিকৃত করা হয়েছে ইতিহাসকে। প্রবল বিক্ষোভের মুখে একাধিক রাজ্যের প্রধানরাও ছবিমুক্তি নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, এ ছবি তাঁদের রাজ্যে চলবে না। কেননা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলে তাঁর দায় তাঁরা নিতে পারবেন না। অন্যদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছবিকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে সংসদে। শেষমেশ মুক্তি স্থগিত হয়ে যায় ছবিটির।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের বডি শেমিংয়ের শিকার মন্দিরা ]

দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে মুক্তি নিয়ে জট কাটল। সেন্সর বোর্ডের বিশেষ প্যানেলে ছিলেন ডঃ চন্দ্রমণি সিং, অধ্যাপক কে কে সিং প্রমুখ। তাঁরা সতীপ্রথার গ্লোরিফিকেশনে রাশ টানেন। ‘ঘুমর’ গানটিতেও কিছু সংস্কারের নির্দেশ দেন। সঞ্জয় লীলা বনশালি ছবি মুক্তির খাতিরে তা মেনেও নেন। এ বছরের সবথেকে আলোচিত বিষয়টির নিষ্পত্তি যে এ বছরই হল, তাতে স্বস্তি ফেরার কথা ছিল। তবে ভয় এখনও কাটছে না। সিবিএফসি-র ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই কর্ণি সেনার তরফে পালটা হুমকি আসে। জানানো হয়, যে যে হলে সিনেমা চলবে তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। এবং ছবি মুক্তির জেরে সারা দেশে যদি গোলমাল বাধে তবে তার দায় নিতে হবে সরকারকেই। দাউদের চাপে পড়ে এ ছবিকে ছাড়পত্র দিয়ে হিন্দুত্বকে নষ্ট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ সুখদেবের।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে