কৃষ্ণকুমার দাস: দুই বাংলার সেরা সাংস্কৃতিক মিলনক্ষেত্র কলকাতার যোধপুর পার্ক উৎসব। ইতিমধ্যে দশদিন ব্যাপি এই অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে।অন্যবছরের মতো এবারও থাকছেন বলিউড, টলিউড এবং বাংলাদেশের সমস্ত নামী শিল্পী, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীরা। আকর্ষনীয় তথ্য হল, বলিউডের সোনু নিগম, অভিজিৎ, কবিতা কৃষ্ণমূর্তিদের সঙ্গে একই মঞ্চে পারফর্ম করবেন বীরভূমের প্রখ্যাত বাউলশিল্পী গৌতম দাস এবং নদিয়া থেকে আসা ফকিরি গানের প্রবাদপ্রতিম শিল্পী মনসুর ফকির। থাকবেন কলকাতার অনুপম রায়, অন্বেষা থেকে শুরু করে ইন্দ্রনীল সেন, লোপামুদ্রা, রাঘব, রূপঙ্কররা। অংশ নেবে বাংলা ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দুও। ইডিএফ হাসপাতালের পাশে তালতলা মাঠে আজ বিকেলে জঙ্গলমহলদের শিল্পীদের মাদলের ছন্দ ও সুরে উৎসবের উদ্বোধন করেন কলকাতার মহানাগরিক ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ছিলেন উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ও ক্রীড়াক্ষেত্রের বিশিষ্টরা।
উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ মেলায় একগুচ্ছ প্রদর্শনী ও বসে আঁকো, কুই্যজ, রন্ধন প্রতিযোগিতা। রাজ্য সরকারের সাফল্য তুলে ধরে এবছর ‘উৎকর্ষ বাংলা’ স্টলে দেখতে পাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নানা অভিনব ভাবনার মানবিক মুখের প্রতিফলন। তথ্য সংস্কৃতি ও পর্যটন দফতর ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক নিজেদের সাফল্য তুলে ধরছে এবারের উৎসবে। মজার বিষয় হল, রন্ধন প্রতিযোগিতায় কলকাতায় বহু পরিচিত অভিজাত পরিবারের গৃহিনীরা অংশ নেন। এবছরও খাবারের নানা স্টল থাকছে। সেখানে প্রতিদিনই থাকবে পিঠে-পুলি থেকে শুরু করে নানা স্বাদের মুখোরোচক খাদ্যসম্ভার। এবছর উৎসবে আরও বেশি সংখ্যায় এলাকার শিল্পীদের সুযোগ করে দিয়েছেন উৎসব কমিটির সভাপতি মেয়র পারিষদ রতন দে। প্রতি বছরের মতো এবারও ১৩ জানুয়ারি ‘বাংলাদেশ দিবস’ পালন করা হচ্ছে। ওই দিন বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও শিল্পীরা যেমন থাকছেন তেমনই এপার বাংলার কবি-সাহিত্যিকরাও অংশ নেবেন।
ওপার বাংলার অদিতি মহসিন, পল্লিগীতির প্রবাদপ্রতিম শিল্পী আবদুল আলীমের সুযোগ্য কন্যা নূরজাহান ছাড়াও স্বপ্নীল সজীব ও তামান্না প্রমিও সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। স্বপ্নীল ও প্রমি দু’দিন আগেই কানাডা থেকে শো করে ফিরেছেন। এবারে বাংলাদেশ দিবসে বিশেষ আকর্ষণ পদ্মাপারের স্বনামধন্য ফ্যাশন ডিজাইনার বিপ্লব সাহা দুই বাংলার মেলবন্ধনে অভিনব ফ্যাশন শো করবেন। সেই ব়্যাম্পের ওপারের নারীর হাত ধরবেন এপারের পুরুষ মডেলরা। থাকবেন বাংলাদেশ উপদূতাবাসের শীর্ষকর্তারাও। উৎসব কমিটির সভাপতি রতন দে জানিয়েছেন, “উৎসবের মধ্য দিয়ে বিভেদের বিরুদ্ধে ভারত আত্মার সর্বধর্ম সম্বন্বয়ের বার্তা পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য জুড়ে যে বিপুল উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ তুলে ধরার চেষ্টা করছি তা উৎসব ও মেলার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দিচ্ছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.