সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কে আসল, আর কে নকল? ঠক বাছতে গাঁ উজাড়ের দশা কর্ণি সেনার। পদ্মাবত-এর বিরুদ্ধে এতদিন লাগাতার আন্দোলন চলছিল। তারপরই আচমকা উলটপুরাণ। বলা হল, রাজপুত গরিমা ক্ষুণ্ণ হয়নি। আন্দোলন তাই প্রত্যাহার করা হচ্ছে। কিন্তু তারপর ফের ইউ টার্ন। জানা যাচ্ছে, সে নেতাকে বহিষ্কার করেই আন্দোলন জারি রাখছে কর্ণি সেনা।
[ রাজপুত গরিমা ক্ষুণ্ন হয়নি ‘পদ্মাবত’-এ, এতদিনে স্বীকারোক্তি কর্ণি সেনার ]
সেই শুটিংয়ের সময় থেকে শুরু হয়েছে ঝামেলা। এখনও তা জারি আছে। মাঝে সেন্সর বোর্ড থেকে সুপ্রিম কোর্টে ঝড় বয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাতেও কর্ণি সেনার কোনও হেলদোল নেই। বরং রাজস্থানের তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পিছনেও ‘পদ্মাবত’ ছায়া দেখেছেন কর্ণি সেনা প্রধান কালভি। জানিয়েছিলেন, “পদ্মাবত নিষিদ্ধ না করার ফলেই বিজেপির হার হয়েছে। এখনও সময় আছে। প্রধানমন্ত্রী এ ছবি নিষিদ্ধ করুন।” সেই কর্ণি সেনার উলটপুরাণে অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। সংগঠনের মাহারাষ্ট্র শাখার তরফে জানানো হয়েছিল, পদ্মাবত-এর বিরুদ্ধে যে আন্দোলন চলছিল তা প্রত্যাহার করা হবে। কেননা কয়েকজন সদস্য ছবিটি দেখেছেন। এবং সেখানে এমন কিছুই খুঁজে পাননি, যা রাজপুত গৌরবকে খাটো করে। ঠিক একই কথা পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালিও বহুদিন আগে থেকেই বলে আসছেন। কিন্তু এতদিন তাঁর কথায় কেউ কর্ণপাত করেনি। কর্ণি সেনার মুখে এ কথা শোনার পর, অনেকেই ভেবেছিলেন এতদিনে বোধহয় শুভবুদ্ধি জাগ্রত হয়েছে।
[ বরফের উপর ‘ঘুমর’-এর জাদু ছড়ালেন প্রবাসী ভারতীয় সুন্দরী ]
কিন্তু ভূতের মুখে রামনাম বোধহয় প্রবাদেই সত্য। কয়েকজন সমর্থকের পদ্মাবত-এর পক্ষে মন্তব্য সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসল কর্ণি সেনা। সংগঠনের তরফে জানানো হল, এ কথা মোটেও কর্ণি সেনার মনের কথা নয়। যাঁরা তা বলেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। সুতরাং কর্ণি সেনা তাদের আন্দোলন থামাচ্ছে না। বরং যাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছিলেন তাঁদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে কালভি বলছেন, দেশে এখন অনেক নকল কর্ণি সেনা চোখে পড়ছে। তাঁর দাবি, এরকম নাকি গোটা আষ্টেক সংগঠন আছে, যারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির কারণে এই কাজ করে চলেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, কোনটি আসল আর কোনটি নকল। কর্ণি সেনার কিছু সমর্থক জানিয়েছিলেন, মহারাষ্ট্র শাখার নির্দেশেই তাঁরা ছবিটি দেখতে গিয়েছিলেন। এবং তা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু তারপরই এই একশো আশি ডিগ্রি দিকবদলে রীতিমতো বিভ্রান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যদিও কর্ণি সেনার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংগঠন একটাই। তার মতাদর্শও একটাই। সুতরাং পদ্মাবত-এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে। এর কোনও অন্যথা নেই।
[ ফেসবুকে জুটি বেঁধেছেন উত্তম-সুচিত্রা, পাঠানো যাবে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টও! ]