সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ উঠল বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষয়ের বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, নির্যাতিতা মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে মহাক্ষয় তাঁকে গর্ভপাতের ওষুধও খাওয়ায় বলে অভিযোগ। এদিকে ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে প্রাণ যেতে পারে নির্যাতিতার। এমনই প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মহাক্ষয়ের মা তথা অভিনেতার স্ত্রী যোগিতা বালির বিরুদ্ধে। এরপরই সুবিচার পেতে দিল্লির এক আদালতে আবেদন করেন নির্যাতিতা। সেই আবেদনের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আদালতের তরফে জানা গিয়েছে, মহাক্ষয় ও তাঁর মা যোগিতা বালির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছে। গোটা বিষয়টির সঙ্গে একজন প্রখ্যাত অভিনেতার সম্মান জড়িত রয়েছে। তাই পর্যাপ্ত তদন্তের পরেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সেজন্য পুলিশি তদন্ত জরুরি। তবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তাই আইনের নির্দিষ্ট ধারায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে। কেননা ধর্ষণের অপরাধে এফআইআর দায়ের গুরুত্বপূর্ণ।
নির্যাতিতা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই অভিনেতা পুত্রের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এমনকী, বিয়ের সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন। ধর্ষণের কারণে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে মহাক্ষয়কে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। অভিযোগ, এই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার খবর পেয়েই মহাক্ষয়ের ভাবগতিক বদলে যায়। তাঁদের নিয়মিত যে দেখা হত, তা আচমকাই বন্ধ হয়ে যায়। দেখা তো দূরের কথা মহাক্ষয় তাঁর ফোনও রিসিভ করতেন না। কিছুদিন যাওয়ার পর তাঁকে একটি ওষুধ খেতে দেন মহাক্ষয়। সেই ওষুধ খাওয়ার পরই গর্ভপাত হয়ে যায় নির্যাতিতার। এদিকে মা যোগিতা বালিও ছেলের এই সম্পর্কের কথা জানতেন। ওই তরুণীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে তিনিও বেঁকে বসেন। নির্যাতিতাকে ডেকে রীতিমতো শাসানি দেন মিঠুন পত্নী। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুম্বই ছেড়ে ও তাঁর ছেলের সংসর্গ ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এই বার্তার পরও যদি নির্যাতিতা কোনওভাবে মহাক্ষয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, তাহলে খুন হয়ে যেতে পারেন বলে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রীতিমতো প্রাণভয়েই মুম্বই ছেড়ে দিল্লি পালিয়ে এসেছেন নির্যাতিতা। তবে রাজধানীতেও তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই পুলিশের উপরে ভরসা রাখতে না পেরে সোজাসুজি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এদিকে তদন্ত শুরু হলে তাঁর প্রাণ নাশের চেষ্টা যে হবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ হুমকিদাতারা নামী পরিবারের সদস্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.