Advertisement
Advertisement

আমার দুগ্গা: বাবার সঙ্গেই প্রথম পায়ে হেঁটে ঠাকুর দেখার শুরু

ছোটবেলার স্মৃতিতে ডুব দিলেন গায়ক শিলাজিৎ।

Silajit Majumder turns nostalgic, churns childhood pujas
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:October 10, 2018 4:19 pm
  • Updated:October 10, 2018 4:19 pm

নতুন জামার গন্ধ। পুজোসংখ্যার পাতায় নয়া অভিযান। পুজোর ছুটির চিঠি। ছোটবেলার পুজোর গায়ে এরকমই মিঠে স্মৃতির পরত। নস্ট্যালজিয়ায় শিলাজিৎ মজুমদার।

বাবা খুব হাঁটতে ভালবাসত। বাবার সঙ্গেই ছোটবেলায় প্রথম পায়ে হেঁটে ঠাকুর দেখার শুরু। তখন আমি পাঁচ কি ছয়। আমার ছোটবেলার পুজো কেটেছে উত্তর কলকাতায়। সরু গলি। টানা রিকশার আওয়াজ। চুপচাপ দুপুরে ঘুঘুর ডাক। অনেক পথ পেরিয়ে এখন আমি দক্ষিণ কলকাতায়। পুজোটাও একটু একটু করে বদলে গিয়েছে। অবশ্য তাই যদি বলি সে সময়কার একটা কাক আর এই সময়ের কাকের মধ্যেও কি বদল আসেনি?

Advertisement

[ আমার দুগ্গা: ঠাকুর দেখে বেরিয়ে দেখি চুরি হয়েছে নতুন পাম্প শু]

Advertisement

আমার ছোটবেলার পুজোটা ছিল দারুণ আনন্দের। ভীষণ নিষ্পাপ। মনে আছে ছোটবেলায় একবার ইচ্ছে করেই হারিয়ে গিয়েছিলাম। পুজোয় কিছু একটা চেয়েছিলাম বাবার কাছে । সেটা না পেয়েই জেদ করে উধাও হলাম। মাধ্যমিকের পর ডানা গজাল। ওই সময়টায় পুজো মানে লুকিয়ে নেশা করার জায়গা। নিজের পাড়া ছেড়ে বন্ধুদের পাড়ায় পুজোয় গিয়ে বিড়ি খেতাম। একবার এমন পুজোতেই ছিলিমে টান দিয়েছি। কলেজে পড়তে শেষ অঞ্জলি। তার পর আস্তে আস্তে মা-বাবার হাতের বাইরে চলে গেলাম। সেদিন থেকেই অঞ্জলিতে ফুলস্টপ পড়ে গেল। এখন পুজোগুলোয় বান্ধবীদের সঙ্গে কাটাই। ষষ্ঠীর দিনে লাস্ট শো করব সোদপুরে। তারপর গিটারটাকে একটু বিশ্রাম দেব। কলকাতার ছ’টা জায়গায় আমার থাকা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ছোটবেলার সেই পাড়ার পুজোর মতো কোনও পুজোর সঙ্গে আর একাত্ম হতে পারিনি। যারা পুজোর কোলাহল থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করে। এই পাঁচটা দিন তারাই আমায় বলে জয়গুরু। আমিও এনজয় গুরু বলে বসে আড্ডা শুরু করি।

[ এবার পুজোয় আপনিও দুর্গা কিংবা অসুর, জানেন কীভাবে?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ