BREAKING NEWS

২৪ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  বৃহস্পতিবার ৮ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

ইসলামপুরের ঘটনায় ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি উসকে বিতর্কে তসলিমা

Published by: Bishakha Pal |    Posted: September 22, 2018 6:40 pm|    Updated: September 22, 2018 6:40 pm

Taslima is in controversy for her tweet

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইসলামপুরের ঘটনা নিয়ে এখন উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গ। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের সর্বত্র এখন প্রতিবাদের ঝড়। ছাত্রদের দোষ একটাই। স্কুলে শিক্ষক চেয়েছিল তারা। বাংলা ভাষার শিক্ষক। কিন্তু স্কুলে নিয়োগ হয় উর্দু ভাষার শিক্ষক। সেখানেই যত বিপত্তি, ধুন্ধুমার, গুলি চালনা আর ছাত্রের মৃত্যু। ঠিক যেন বাহান্নর ভাষা আন্দোলন।

এমনই মন্তব্য করেছেন তসলিমা নাসরিন। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতা যখন আসে, সঙ্গে করে নিয়ে আসে দেশভাগ। ভারতবর্ষ সেদিন ভেঙে দ্বিখণ্ডিত হয়। হিন্দুস্তান আর পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান। পাকিস্তানের বেশিরভাগ মানুষই উর্দুভাষী। তাই সীমান্তপারের দেশে সেদিন রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাছা হয়েছিল উর্দুকে। কিন্তু বাঙালিরা তা মানেনি। তাদের মার্তৃভাষা বাংলা। তাই বাংলা ছেড়ে পররাষ্ট্রের ভাষাকে নিজেদের রাষ্ট্রভাষা মানতে রাজি হয়নি তারা। বাংলাকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি নিয়ে সেদিন পথে নেমেছিল দেশের যুবসমাজ। প্রতিবাদ মিছিলে অগ্রণী ছিল ছাত্রছাত্রীরা। দেশের ভবিষ্যৎদের সেদিন ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল পুলিশের বুলেট।

চিনা বাদ্যযন্ত্রে হিন্দি গানের সুর, বেজিং অলিম্পিকের শিল্পীরা মাতালেন শহর ]

আজ পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরেও একই অবস্থা। স্কুলে উর্দু শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর৷ স্থানীয় দাঁড়িভিট হাই স্কুলের ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বেঘোরে প্রাণ হারান এক কলেজ পড়ুয়া। মৃতের নাম রাজেশ সরকার। তিনি ছিলেন আইটিআই ফাইনাল ইয়ার ও ইসলামপুর কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। রাজেশের বুকে গুলি বেঁধে। জখম হন ন’জন। যাঁদের মধ্যে বুকে ও পায়ে গুলি লাগে স্কুলের দুই ছাত্র তাপস বর্মন ও বিপ্লব সরকারের। তারপর শুক্রবার ভোরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাপসের। পুলিশের বিরুদ্ধেই ওঠে অভিযোগের আঙুল৷ স্কুলে উর্দু শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে শুক্রবারও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি রয়েছে রায়গঞ্জ, ইসলামপুর-সহ উত্তর দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়।

‘রাজার অসুখ’ সারাচ্ছে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শিশুরোগীরা ]

এত বিস্তারিতভাবে তসলিমা অবশ্য বলেননি। কিন্তু টুইটারে যা লিখেছেন, তা সম্প্রসারণ করলে এটাই দাঁড়ায়। আর এই দুই ঘটনার মেলবন্ধন করায় বিতর্ক জড়িয়েছেন লেখিকা।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে