সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়া মানেই মতবাদ প্রকাশের অবাধ স্বাধীনতা। কিন্তু এই স্বাধীনতা যখন বিনা কারণে বা প্রমাণে অন্যের সম্মানহানির কারণ হয়, তখন তা মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে তারকাদের ক্ষেত্রে। নেটদুনিয়ায় কমবেশি সব তারকাকেই কখনও না কখনও হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশই এমন বিষয় এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয় মনে করেছেন। ব্যতিক্রম রূপম ইসলাম। ফেসবুকে হেনস্তার জবাব তিনি দিলেন আইনি নোটিস পাঠিয়ে।
[বিদেশি গানের সুর নকল ‘মিঠে আলো’য়! ক্ষুব্ধ সংগীত পরিচালকরা]
জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত হয় বাংলা ব্যান্ড ‘রেভোলিউশন’-এর গিটারিস্ট রাজশেখর দেবরায়ের একটি পোস্টের মাধ্যমে। আগস্ট মাসের ২৫ তারিখ নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে ২০১২ সালের একটি ভিডিও শেয়ার করেন রাজশেখর। আর ক্যাপশনে লেখেন – ‘ইশ ফসিলসও কি চুরি করে?’ এর পরই শোরগোল পড়ে যায় নেটদুনিয়ায়। একের পর এক মন্তব্যের ঝড় বয়ে যায়।
বিষয়টি রূপমের নজরে আসতে বেশি সময় লাগেনি। চুপ করে বসে থাকেননি গায়ক। আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতার মাধ্যমে নোটিস পাঠিয়েছেন তিনি। যাতে বলা হয়েছে, যে গানটি তুলে ধরে গায়ক ও তাঁর ব্যান্ড ‘ফসিলস’-এর সদস্যদের সোশ্যাল মিডিয়ায় হেনস্তা করা হয়েছে। নকল করার অভিযোগ আনা হয়েছে তা বাজারে পরিচিতি পেয়েছে ২০১১ সালে। আর ‘ফসিলস’-এর ‘হারানো পদক’ গানটি তৈরি হয়েছে ২০০৩ সালে। প্রকাশিত হয়েছে ২০০৪ সালে। কেমন করে এ গান নকল হতে পারে?
এই মর্মেই অভিযুক্তকে নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে ১৫ দিনের মধ্যে যুক্তি দিতে বলা হয়েছে। আর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপমানজনক পোস্টটি সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। না হলে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত টানা হবে বলেও জানানো হয়েছে। আর রূপম ও তাঁর ব্যান্ডের সামাজিক সম্মানহানির জন্য উপযুক্ত শাস্তির আরজি জানানো হবে। নোটিসটি নিজের ফেসবুক পেজেও শেয়ার করেছেন রূপম। গায়কের কথায়, এ পদক্ষেপ শুধু নিজের জন্য নয় সেই সব মানুষের জন্যও নেওয়া হয়েছে যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় হেনস্তার শিকার হয়েছেন কিছু ‘সবজান্তা’ নেটিজেনদের হাতে। এরপর কিছু সম্মানহানিকর পোস্ট করার আগে একটু সাবধান থাকার পরামর্শও দিয়েছেন গায়ক।
হারানো পদক- যে গান নিয়ে বিতর্ক
[শাড়ির সঙ্গে লেদার বেল্ট! উদ্ভট ফ্যাশনে নেটদুনিয়ায় খোরাক শিল্পা]