সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতে আর বাকি নেই একমাসও। সারাদেশ জুড়ে চালু হতে চলেছে কেন্দ্রের নতুন কর কাঠামো। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির পণ্য পরিষেবা কর বা জিএসটি (গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স) ইতিমধ্যেই আলোড়ন ফেলেছে দেশের সর্বত্র। সরব হয়েছে বিভিন্ন রিজিওনাল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিগুলি। এবার তার প্রভাব পড়তে চলেছে টলিউডেও।
[জুতো পরে যজ্ঞে! নয়া বিতর্কে শুভশ্রী ]
কিছুদিন আগেই দক্ষিণী সুপারস্টার কমল হাসান মন্তব্য করেছিলেন, ২৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হলে ধসে পড়বে গোটা তামিল ইন্ডাস্ট্রির অর্থনৈতিক পরিকাঠামো। তবে শুধু কমল হাসান নন, বাকিদের মুখেও একই কথা। এবার জিএসটির প্রতিবাদে সরব টালিগঞ্জও। ২৮ শতাংশ জিএসটি বাংলা ইন্ডাস্ট্রির পক্ষেও ক্ষতিকর, তা একবাক্যে মেনে নিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, অরিন্দম শীলের পাশাপাশি গোটা টলিউড। এবিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। পুরো ব্যাপারটাই জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। জিএসটি নিয়ে কী ভাবছে টলিউড, এই নতুন কর কাঠামো কতটা ক্ষতি করবে এই ইন্ডাস্ট্রির, কীভাবে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া যায় আবেদন, এই সব নিয়েই শনিবার টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে জমায়েত হন অভিনেতা, টেকনিশিয়ান্স, প্রযোজক, পরিচালক, সিনেমা হলের মালিক, ডিস্ট্রিবিউটর-সহ ইম্পার সদস্যরা সকলেই। উপস্থিত ছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দীপঙ্কর দে, দেব, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, হরনাথ চক্রবর্তী, অরিন্দম শীল, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, অঙ্কুশ, যশ দাশগুপ্ত, অরিজিৎ দত্ত, ইম্পার প্রেসিডেন্ট শ্রীকান্ত মোহতা-সহ আরও অনেকে।
[প্রথম বাঙালি অভিনেতা হিসাবে সর্বোচ্চ ফরাসি সম্মানে ভূষিত সৌমিত্র]
শনিবার এই প্রসঙ্গে টলিউডের অভিভাবক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাংলা ছবির এখন সুদিন। অনেক কষ্টের পর অর্থনৈতিকভাবে সাবলীল হয়েছে বাংলা ছবি। কিন্তু জিএসটির প্রভাবে বাংলা ছবিতে আবারও ফিরে আসতে পারে দুর্দিন। প্রযোজকরা অন্য ব্যবসায় টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন কিন্তু আমরা শিল্পীরা বা টেকনিশিয়ানরা যারা সিনেমার বাইরে আর কোনও কাজ করতে জানি না, তাঁরা সবাই অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়ব। তাই এখন আমাদের সংঘবদ্ধ হতে হবে। আমরা একটা কোর কমিটি গঠন করব। সেই কোর কমিটির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছে দেব আমাদের বক্তব্য। দাবি মেনে না নেওয়া হলে একদিনের বনধেরও ডাক দিতে পারি আমরা। বিভিন্ন আঞ্চলিক ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদেরও আমরা আমন্ত্রন জানাব। সেরকম হলে সব প্রতিনিধিদের নিয়ে কলকাতায় কনফারেন্স করার পরিকল্পনা রয়েছে।” তাঁর সঙ্গে পুরোপুরি একমত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ও।
ছবি সৌজন্যে: শুভেন্দু চৌধুরি