সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোখ জুড়ানো সরষে ক্ষেত। লেদার জ্যাকেট পরে দুই হাত প্রসারিত করে দিলেন নায়ক। একহাতে টুপি, আরেক হাতে ম্যান্ডোলিন। ছুট্টে গিয়ে নায়িকা জড়িয়ে ধরল তাঁকে। মুখে হাসি ফুটে উঠেছিল নয়ের দশকের দর্শকদের মুখে। আজও একই দৃশ্যে হাততালি পড়ে মুম্বইয়ের মারাঠা মন্দিরে। ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ মানেই নস্টালজিয়া। প্রথম প্রেমের নস্টালজিয়া, বলিউডের সবচেয়ে রোমান্টিক জুটিকে প্রত্যক্ষ করার নস্টালজিয়া। আজও মনের মানুষ খুঁজতে গিয়ে মহিলাদের আদর্শ রাজ মালহোত্রাই। যে রাজ বিদেশ থেকে ছুটে এসেছিল নিজের সিমরনের জন্য। ‘বাবুজি’র অনুমতি নিয়ে তবেই আপন করেছিল নিজের ‘দুলহনিয়া’কে। ভাবুন তো! এমন চরিত্রে কি শাহরুখ খান ছাড়া আর কাউকে কল্পনা করা সম্ভব? সম্ভব না হলেও কিন্তু সম্ভাবনা ছিল।
[শ্রীদেবীর স্মৃতিকে সঙ্গী করেই করণের ছবি ‘কলঙ্ক’, ফের একসঙ্গে সঞ্জয়-মাধুরী]
শোনা গিয়েছে, রাজ মালহোত্রার চরিত্রে হলিউড তারকা টম ক্রুজের কথা ভেবেছিলেন পরিচালক-প্রযোজকরা। আর এ ছবি ইন্দো-আমেরিকান প্রজেক্ট হওয়ার কথাও নাকি ছিল। কিন্তু পরে আদিত্য চোপড়া নিজের মত বদল করেন। কারণ রাজের চরিত্রে কোনও বিদেশি অভিনেতাকে চাইছিলেন না তিনি। তাই নতুন করে চিত্রনাট্য লেখা হয়।
কিন্তু এরপরও নাকি আইকনিক চরিত্রটি সোজা পথে আসেনি বলিউডের রোমান্স কিংয়ের কাছে। কারণ এও শুনতে পাওয়া যায়, রাজের চরিত্রের অফার প্রথমে নবাব-পুত্তুর সইফ আলি খানের কাছে গিয়েছিল। তিনি সে অফার ফিরিয়ে দেন।
এ তথ্য যদি সত্য হয় তাহলে বলতেই হয়, ভাগ্যিস সইফ রাজ হওয়ার অফারটি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আর এ চরিত্র করার সুযোগ শাহরুখ পেয়েছিলেন। আর ভাগ্যের জোরেই বলিউড পেয়েছিল শাহরুখ-কাজলের দুরন্ত জুটিকে। আর দর্শকের প্রাপ্তি ‘ডিডিএলজে’-র নস্টালজিয়া। সে নস্টালজিয়ার জোরে শেষে কেবল একটিই কথা বলা যায়, ‘কোই বাত নেহি সেনোরিটা! কোই বাত নেহি! বড়ে বড়ে দেশো মে অ্যাইসি ছোটি ছোটি বাতে হোতি রহেতি হ্যায়।’
[‘সিনেমায় আমি নগ্ন হলেও স্বামী কিছু মনে করবে না’]