সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়। বহু বিতর্কিত হেতাল পারেখ হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাঁকে। এটি এমন একটি মামলা যা শুধু কলকাতায় নয়, সাড়া ফেলে দিয়েছিল গোটা ভারতে। দীর্ঘ ১৪ বছর যাবজ্জীবন সাজা কাটানোর পর ফাঁসি দেওয়া হয় তাঁকে। একই অপরাধে কেন দুই সাজা? তা নিয়ে সরগরম ছিল গোটা রাজ্য। উপযুক্ত প্রমাণের অভাব থাকা সত্ত্বেও ফাঁসির সাজা দেওয়া হয় তাঁকে, এহেন অভিযোগও আনেন অনেকে। এবার সেই ধনঞ্জয়ের জীবন উঠে আসছে বড়পর্দায়। পরিচালক অরিন্দম শীলের পরিচালনায় এই ছবির নাম ‘ধনঞ্জয়’। ছবিতে মুখ্য চরিত্র ধনঞ্জয়ের ভূমিকায় দেখা যাবে অনির্বান ভট্টাচার্যকে। এবং তাঁর উকিলের চরিত্রে দেখা যাবে মিমি চক্রবর্তীকে। এছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মীর, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, আরিয়া, অনুশা-সহ আরও অনেকে। সম্প্রতি একইসঙ্গে প্রকাশিত হল ছবির পোস্টার ও ট্রেলার।
[মেলবোর্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন হবে এই ভারতীয় ছবি দিয়ে]
মার্চ ১৯৯০। দক্ষিণ কলকাতায় নিজের ফ্ল্যাটেই ধর্ষিতা হয়ে খুন হন ১৮ বছরের ছাত্রী হেতাল পারেখ। শহরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ফেলে দেয় এই অমানবিক হত্যাকাণ্ড। যার জের চলে দীর্ঘ চোদ্দ বছর। ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে হেতাল পারেখের ফ্ল্যাটের নিরাপত্তা রক্ষী ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। খুনের দিন থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরের দিন বাঁকুড়ায় তাঁর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ শুরু করে তদন্ত। পারিপার্শ্বিক প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ধনঞ্জয়কে। সেশন কোর্ট তাঁকে ফাঁসির সাজা শোনায়। পরবর্তীকালে মামলা ওঠে কলকাতা হাই কোর্টে। হাই কোর্টও বহাল রাখে ফাঁসির আদেশ। অবশেষে ফাঁসির সাজায় শিলমোহর দেয় ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। ১৪ বছর সাজা ভোগ করার পর ১৫ অগাস্ট, ২০০৪ ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত করা হয় ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে। এই ১৪ বছরের মামলায় বরাবরই নিজেকে নির্দোষ বলেছেন ধনঞ্জয়। এমনকী ফাঁসির আগেও তিনি অভিযোগ অস্বীকারও করেছিলেন। এবার সেই ঘটনাই উঠে আসবে অরিন্দমের চিত্রনাট্যে। আগামী ১১ আগস্ট মুক্তি পেতে চলেছে ‘ধনঞ্জয়’। যেহেতু এই মামলাকে ঘিরে রয়েছে ধোঁয়াশা, তাই বড়পর্দায় ছবি দেখার অপেক্ষায় উৎসুক সকলেই।
দেখুন ট্রেলার:
[OMG! নার্গিসকে ক্যাটরিনা ভেবে এ কী করলেন ভক্ত!]