সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সূক্ষ্ম একটা মনোমালিন্য চলছেই! পতৌদি পরিবার সেটা স্বীকার করুক বা না করুক! স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, করিনা কাপুর খানের গর্ভাবস্থা নিয়ে দুই দলে ভাগ গিয়েছে পরিবার। এক দিকে যার রয়েছেন করিনা এবং তাঁর স্বামী সইফ আলি খান, করিশ্মা কাপুর, মালাইকা অরোরা খান এবং অমৃতা অরোরা। অন্য পক্ষে রয়েছেন শর্মিলা ঠাকুর এবং সোহা আলি খান। মনোমালিন্যের কারণ- এখনও বিশ্রাম না নিয়ে করিনার ক্রমাগত কাজ করে চলা! নানা ফটোশুটে গর্ভ প্রদর্শন! যা নবাব পরিবারের চিরাচরিত রীতিনীতির বিরোধী!
এই নিয়ে যতবার জানতে চাওয়া হয়েছে, সব সময়েই তেড়েফুঁড়ে উঠেছেন সোহা আলি খান। বউদিকে নিয়ে কখনই ভাল কিছু বলেননি তিনি। শেষ বার তো বেশ ঝাঁঝিয়েই বলেছিলেন তিনি- “করিনার সন্তান হচ্ছে বলে কি সোয়েটার বুনতে বসতে হবে?”
ফলে সবাই তাকিয়ে ছিলেন এতদিন ধরে শর্মিলা ঠাকুরের দিকে। জানতে চাইছিল করিনার সন্তান হওয়া নিয়ে তাঁর মতামত। যেন বা হিসেব মেলাতে চাইছিলেন সবাই- করিনার সন্তান কতটা বাঞ্ছনীয় উত্তরাধিকার সমস্যায় জর্জরিত পতৌদি পরিবারে। কেন না, সইফ আলি খানের এক ছেলে, এক মেয়ে রয়েছেই! সেই জায়গায় কোন স্থানটি দখল করতে চলেছে করিনার সন্তান- এখন শুধু তারই প্রতীক্ষা।
কিন্তু, শর্মিলা ঠাকুরের বক্তব্য শুনেও চমকে উঠতে হচ্ছে। খুব নিস্পৃহ ভাবেই সম্প্রতি জানিয়েছেন তিনি করিনার এখনও কাজ করা নিয়ে তাঁর আপত্তির কথা। “করিনা খুবই মিষ্টি এক মেয়ে। যেভাবে গর্ভাবস্থাটা ও ক্যারি করছে, তা দেখার মতো! আমার শুধু একটাই চিন্তা- কারও নজর না লেগে যায়”, জানিয়েছেন শর্মিলা।
বক্তব্য তো সাফ- করিনা নিজের মর্জিমাফিক চলছেন! ক্ষতি কিছু হলে দায় তাঁরই! যাতে না হয়, তার জন্য শাশুড়ি হিসেবে বড়জোর চিন্তা করতে পারেন শর্মিলা! আর কী বা করার আছে তাঁর!