সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তখনও মুম্বই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। কুখ্যাত হলেও ভারতের চোখে তখনও জঘন্যতম অপরাধী হয়ে ওঠেনি দাউদ ইব্রাহিম। সেই সময়ই তার সঙ্গে চায়ের আসরে বসতে হয়েছিল ঋষি কাপুরকে। নিজের আত্মজীবনী খুল্লম খুল্লা-তে এ কথাই জানিয়েছেন বর্ষিয়ান অভিনেতা।
সাল ১৯৮৮। রাহুল দেব বর্মন ও আশা ভোঁসলের একটি অনুষ্ঠানের জন্য দুবাই গিয়েছিলেন ঋষি। বিমানবন্দরে নামামাত্র একজন তাঁর হাতে একটি ফোন এগিয়ে দেয়। বলেন, ‘দাউদ সাব বাত করেঙ্গে।’ এরপরই এক চায়ের আসরে নিমন্ত্রিত হন ঋষি। সে সময় দাউদের সঙ্গে দেখা করাকে তিনি অন্তত খারাপ কাজ বলে ভাবেননি। দেখা হয় দাউদের সঙ্গে। অনেক কথাই অভিনেতাকে বলেছিলেন ‘ডন’। জানিয়েছিলেন, চা-চক্রে ডেকেছে কেননা ডন মদ্যপান করে না, কাউকে মদ দেয়ও না। প্রায় ঘণ্টা চারেক কথোপকথন চলেছিল তাঁদের। দাউদ জানিয়েছিল, সে নিজের হাতে কাউকে খুন করেনি। তবে তার নির্দেশে হত্যা হয়েছিল, কবুল করেছিল সে কথা।
(যৌনতা নিয়ে স্বীকারোক্তির পর কাজল সম্পর্কেও বিস্ফোরক করণ)
‘তবায়েফ’ ছবিতে ঋষির অভিনয়ের প্রশংসা করেছিল ডন। কেননা সেখানে ঋষির নাম ছিল দাউদ। পরে আরও একবার দুবাইয়ে তাঁর দেখা হয়েছিল ডনের সঙ্গে। ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল ডন। বলেছিল, বেশ কিছু নেতাকে সে নিয়মিত টাকা পাঠায়। তার কাছে নেতারা কেনা বলেও দাবি করেছিল দাউদ। যদিও এ সব থেকে তাঁকে দূরে রাখার অনুরোধ করেন ঋষি।
(সঙ্গমের সময় ফাটল কন্ডোম… তারপর?)
ঋষির আত্মজীবনী খুল্লম খুল্লার খানিকটা অংশই সামনে এসেছে। বই প্রকাশ হলে এরকমই আরও অজানা তথ্য সামনে আসবে, এই আশাতেই দিন গুণছেন সিনেপ্রেমী ও বইপ্রেমিকরাও।