Advertisement
Advertisement

Breaking News

রাজ-মিমির মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি কে?

রাজ নিজে জানালেন, তুরস্কে শুটিংয়ে মিমির সঙ্গে মিলি গুলহান নামে ছেলেটির সম্পর্কের কথা তিনি জেনেছিলেন৷ এবং সেই সময় তা জেনে তিনি প্রায় আকাশ থেকে পড়েছিলেন৷

Who is behind in Raj-Mimi's Break up
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 22, 2016 6:28 pm
  • Updated:August 22, 2016 7:52 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্পর্কে বিচ্ছেদ নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন রাজ-মিমি৷ রাজ চক্রবর্তী জানিয়ে দিলেন, ‘হ্যাঁ সব শেষ হয়ে গিয়েছে৷’ আর মিমি বললেন, ‘আমাদের সম্পর্কটা আর নেই৷ তবে রাজ আমার মেন্টর, ফ্রেন্ড, ফিলোজফার, গাইড ছিল, আমি সারাজীবন ওর কাছে কৃতজ্ঞ থাকব৷’

এর আগেও রাজের সঙ্গে অনেকের সম্পর্কের কথা শোনা গিয়েছিল৷ এবং মিমির সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য চলছিল নানা কারণে৷ প্রসঙ্গত, রাজ আগেও ব্রেক আপের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন৷ কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে মিমির সঙ্গে তাঁর স্টেডি রিলেশন তৈরি হয়েছিল, এমনটাই জানত আমদর্শক৷ কিন্তু আসল খবর হল, শেষ বছরটায় তাঁদের সম্পর্কে তোলপাড় চলছিল৷ তাঁদের দুজনের সম্পর্কের মাঝে কখনও উঠে এসেছে কৌশানির নাম, কখনও বা অন্য কারও৷ কিন্তু রাজ নিজে জানালেন, তুরস্কে শুটিংয়ে মিমির সঙ্গে মিলি গুলহান নামে ছেলেটির সম্পর্কের কথা তিনি জেনেছিলেন৷ এবং সেই সময় তা জেনে তিনি প্রায় আকাশ থেকে পড়েছিলেন৷ এই মিলির সঙ্গেই বছরখানেক আগে মিমি চক্রবর্তীর আলাপ হয়েছিল বিরসা দাশগুপ্তর ‘শুধু তোমারই জন্য’ ছবির শুটিংয়ে, এই তুরস্কতেই৷ এই মিলিই হলেন ওখানকার লাইন প্রোডিউসরের ছেলে৷ নেহাতই তরুণ যাকে বলে বছর কুড়ির মিলি৷ সূত্রের খবর,  মিমিকে তুরস্ক যাওয়ার আগে এয়ারপোর্টে ছাড়তে গিয়েছিলেন রাজ৷ ইস্তানবুল গিয়েও সব ঠিকঠাক ছিল৷ ইতিমধ্যে রাজ নিজে ইতালি যান নিজের ছবি অভিমান-এর শুটিংয়ের জন্য৷ সেই সময় থেকেই রাজ-মিমির ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ কমে আসছিল৷ চিরকালের একনিষ্ঠ মিমি এমনটা করেন না৷ রাজ গণ্ডগোলের আঁচ পান৷ বন্ধুদের থেকে খবর নেন৷ জানতে পারেন, মিলির সঙ্গে মিমির ঘনিষ্ঠতার খবর৷

Advertisement

কিন্তু প্রথমটায় বিশ্বাস করেননি৷ শেষে রাজ অবাক হয়ে যান যখন তাঁর মায়ের অসুস্থতার খবরেও মিমি তেমনভাবে সাড়া দেননি৷ যোগাযোগ করেননি৷ এটা মিমির স্বভাব নয়৷ তখনই রাজ বুঝতে পারেন মিমি ও মিলির সম্পর্কটা সিরিয়াস৷ এবং মিমিকে বোঝানোর চেষ্টাও করেন৷ মিমি যদিও জানিয়েছেন, মিলির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শুধুই বন্ধুত্বের৷ কিন্তু রাজের বক্তব্য, মিমি নাকি তাঁর কাছে স্বীকার করেছিলেন তুরস্কের এই নতুন মানুষটির সঙ্গে মিমির সম্পর্কের কথা৷ তারপর রাজ তাঁকে সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসতে বলেন৷ কিন্তু জানা যাচ্ছে, মিমির পক্ষে তা করা সম্ভব ছিল না৷ এরপরই ঘটনা চরম আকার নেয়৷ রাজ সম্পর্ক ছেদ করেন৷ এমনকী মিমিকে হোয়াটসঅ্যাপে ব্লক করে দেন৷ তারপর বন্ধুদের অনুরোধে যদিও আনব্লক করেন, কিন্তু সম্পর্ক যে শেষ, সেটাও জানিয়ে দেন৷ কলকাতায় ফিরে মিমি নাকি রাজের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু আর তাঁদের দেখা হয়নি৷ এখন প্রশ্ন, এভাবেই কি শেষ হয়ে গেল রাজ-মিমির বহুচর্চিত প্রেম?

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ