Advertisement
Advertisement

আলসারের কড়া দাওয়াই হতে পারে শীতের বাঁধাকপি

চাহিদার কথা মাথায় রেখে মুর্শিদাবাদে বাঁধাকপি চাষে নজর দিয়েছেন কৃষকরা৷

 gastric ulcer to be cure by Cabbage
Published by: Tanujit Das
  • Posted:December 21, 2018 9:17 pm
  • Updated:December 21, 2018 9:17 pm

কল্যাণ চন্দ্র: শীতকালে বাজারে গেলেই যে সবজির সবার নজর কাড়ে সেটি হল বাঁধাকপি। ওজন কমাতে রোজকার খাদ্য তালিকায় বাঁধাকপির জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া, আলসার, পেট ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে সবুজ রঙের এই সবজিটি। বাঁধাকপি হাড়ের সমস্যা যেমন দূর করে তেমনি ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও সোডিয়াম যুক্ত বাঁধাকপি মোটামুটি রোজকার খাদ্য তালিকায় থাকলে ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না। শীতকালীন সবজিগুলির মধ্যে অন্যতম সবুজ পাতা জাতীয় খাবার বাঁধাকপি। তবে অনেকে গ্যাস অম্বলের ভয়ে বাঁধাকপি এড়িয়ে যান।

[রুক্ষ মাটিতে গোলাপ চাষই নয়া দিশা বাঁকুড়ার কৃষকদের]

Advertisement

কিন্তু বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যানসার প্রতিরোধেও সহায়তা করে। মূলত জুলাই-আগস্ট মাস থেকে বাঁধাকপির চাষ শুরু করা হয়। চলতি বছর মুর্শিদাবাদ জেলার ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বাঁধাকপি চাষ করা হয়েছে। প্রায় ছ’লক্ষ মেট্রিক টন বাঁধাকপি উৎপাদন হয়েছে। বহরমপুর ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল-সহ বেলডাঙ্গা, নওদা, সুতি-১ ও সুতি ২ নম্বর ব্লক ও মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লকেও প্রচুর বাঁধাকপির ফলন হয়েছে। এবার মুর্শিদাবাদ জেলার প্রায় দেড় লক্ষ কৃষক বাঁধাকপি চাষ করেছেন। গত বছর দশ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপির চাষ হয়েছিল। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে। চলতি বছরে সাড়ে আট লক্ষ উন্নত মানের বাঁধাকপির চারা দেওয়া হয়েছিল চাষিদের। ফলনও বেশ ভাল হয়েছে।

Advertisement

[বিনা কর্ষণে চাষের জনপ্রিয়তা বাড়ছে আলিপুরদুয়ারে, দেখুন ভিডিও]

অন্যদিকে বহরমপুর ব্লকের বাণীনাথপুরের চাষি ফিরোজ শেখ জানান, গত বছর ভাল দাম পাওয়া গিয়েছিল বাঁধাকপির। কপি পিছু সাত থেকে আট টাকা করে দাম মিলেছিল। এবার সে বাজার নেই। দু’-একটাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তার জমিতে চল্লিশ হাজারেরও বেশি কপি উৎপাদিত হয়েছিল। কিছুটা বিক্রি হয়েছে কিছুটা পড়ে রয়েছে। শীত পড়লে বাঁধাকপির স্বাদ ভাল হয় বলে দশ কাঠা জমিতে চাষ করেছিলেন বেলডাঙ্গা ব্লকের ভাবতা গ্রামের জিয়াবুর রহমান। তিনিও দাম পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন। গতবার ১৮ কাঠা জমিতে বাঁধাকপি লাগিয়ে ভালই লাভ করেছিলেন তিনি। কিন্তু এ বছর জমির ধারে কাছে যাচ্ছে না পাইকারি ক্রেতারা কেউই। চলতি বছর পরিবেশ বাঁধাকপি চাষের অনুকূলে ছিল। তেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি। বৃষ্টিপাতের পরিমাণও তুলনামূলক কম ছিল। ফলে প্রচুর বাঁধাকপির উৎপাদন হয়েছে। তাছাড়া, শীতের মরশুমে বাজারে প্রচুর সবজি আসে। ফলে, তীব্র প্রতিযোগিতা চলে বিভিন্ন সবজির সঙ্গে। সেই কারণে বাজারে উদ্বৃত্ত তৈরি হয়। তাছাড়া, এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বাঁধাকপি খুব একটা রপ্তানি হয় না। চাষিরা আগামী পৌষ মাসের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। ওই মাসে চড়ুইভাতির পাতে পেঁয়াজ, গাজরের সঙ্গে স্যালাড হিসেবে বাঁধাকপি যেমন থাকবে তেমনি বাঁধাকপির ঘণ্টা পড়বে বাঙালির পাতে। যে বাঁধাকপি শরীরের ভিটামিন সি বাড়াতে সক্ষম।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ