Advertisement
Advertisement

Breaking News

রাইসিনার পর কোথায় যাবেন প্রণব মুখোপাধ্যায়, নতুন ঠিকানা কতটা তৈরি?

অখণ্ড অবসরে কী করবেন বঙ্গসন্তান?

10 Rajaji Road ready to welcome Pranab Mukherjee
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 23, 2017 11:11 am
  • Updated:June 17, 2020 7:33 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচ বছরের ঠিকানা অতীত। ২৫ জুলাই থেকে আর দেশের রাষ্ট্রপতি নন প্রণব মুখোপাধ্যায়। এবার নতুন গন্তব্য। রাইসিনা হিল থেকে ১০ রাজাজি রোডে গিয়ে উঠছেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ইচ্ছেয় ছিমছাম হচ্ছে বাড়ির পরিবেশ। থাকবে গ্রন্থাগার। যেখানে বই পড়ে, লেখালেখি করে অখণ্ড অবসর কাটাবেন বঙ্গসন্তান।

[রেলের নয়া পদক্ষেপে এবার ১ টাকাতেই জল পাবেন যাত্রীরা]

ভারতীয় সংবিধানের প্রধান নাগরিক। সর্বোচ্চ নাগরিকের মেয়াদ আর কয়েক ঘণ্টা। রামনাথ কোবিন্দকে রাইসিনা হিল ছেড়ে দিয়ে এবার নয়াদিল্লির ১০ নম্বর রাজাজি রোডের বাড়ি হচ্ছে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নতুন ঠিকানা। তাঁকে থাকতে দোতলা বাড়িতে। যেখানে থাকছে আটটি ঘর। নতুন অতিথি আসার আগে তৈরি রাজাজি রোডের বাড়ি। নতুন করে বাড়ি সাজানো হয়েছে। ঢোকা-বেরোনোর গেটে শুধু প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত নেমপ্লেট বসানো যা বাকি। ১১,৭৭৬ ফুটের এই বাড়িতে খুব বেশি আসবাবপত্র রাখা হচ্ছে না। বাড়ির বেশ কিছুটা অংশ ফাঁকা থাকছে। নীচতলার একটা প্রশস্ত জায়গায় লাইব্রেরি করা হবে। কারণ, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বই পড়ার আগ্রহ মারাত্মক। সেজন্য এই বন্দোবস্ত। রাষ্ট্রপতি হিসাবে পাঁচ বছরে তাঁর কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা নিয়েও কলম ধরতে পারেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে অখণ্ড অবসরে এই বাড়িতে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে চান ৮১ বছরের এই বঙ্গসন্তান। জাতীয়-আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, কূটনীতি এবং অস্ত্র সংগ্রহ নিয়ে গবেষণার সুযোগ থাকবে ওই প্রতিষ্ঠানে। তবে রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে নতুন ঠিকানায় আসার কিছু দিন পর এই বিষয়গুলি ঠিক করা হবে। যেখানে দেশ বিদেশের গবেষক, চিন্তাবিদ, অধ্যাপক, রাষ্ট্রনেতা, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদদের এক ছাদের তলায় এনে সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। রাজাজি রোডের যে বাড়িতে থাকবেন প্রণব মুখোপাধ্যায় থাকবেন, সেখানে এক সময় ছিলেন এপিজে আবদুল কালাম। বাড়িতে থাকার জন্য তাঁকে কোনও খরচ করতে হবে না। যেখানে বিদ্যুৎ এবং জলের খরচ লাগবে না। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হিসাবে প্রণব মুখোপাধ্যায় পেনশন পাবেন ৭৫ হাজার টাকা। দুটি টেলিফোন, একটি মোবাইল এবং গাড়ি বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। কর্মী এবং অন্যান্য খরচের জন্য পাবেন ৬০ হাজার টাকা। দেশের যে কোনও প্রান্তে সর্বোচ্চ সুবিধাযুক্ত পরিবহনে সঙ্গে একজনকে নিয়ে তিনি বিনামূল্যে যাতায়াত করতে পারবেন। পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য নিজেকে কোনও অর্থ খরচ করতে হবে না।

Advertisement

Advertisement

রাইসিনা হিলে গিয়ে রাজনৈতিক জীবনে তিনি দাঁড়ি টেনেছিলেন। এবার সেখানকার পাটও শেষ। এবার ব্যক্তিগত জীবনে ফিরে পড়াশোনার জগতে পাকাপাকি বাসিন্দা হতে চান কীর্ণাহারের সন্তান। মিরাটির গ্রামে দুর্গাপুজোয় থাকা, বই পড়া, নতুন কিছু লেখা। এভাবেই এগোবে ভারতীয় রাজনীতির একদা চাণক্যর নতুন ইনিংস।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ