সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকা থেকে বহিষ্কৃত হয়ে দেশে ফিরলেন ১৪৫ জন ভারতীয়। এঁদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও অন্যায়ভাবে তাঁরা ছিলেন আমেরিকায়। কেউ কেউ আমেরিকায় অনুপ্রবেশ করেছিলেন কোনওরকম কাগজপত্র ছাড়াই। ফলে তাঁদের আমেরিকা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘রাজনীতির চাণক্যকে বোকা বানিয়েছেন শরদ পাওয়ার’, নাম না করে অমিত শাহকে কটাক্ষ এনসিপির]
কিন্তু, চার্টার্ড বিমানে চাপিয়ে নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে আসার পর দেখা যায় তাঁদের সবার হাত-পা ফাইবারের দড়ি দিয়ে বাঁধা। এরপরই বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। তাঁরা বিমান থেকে নেমে টারম্যাকে পৌঁছনোর পর তাঁদের হাত-পায়ের দড়ি খুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, অ্যারিজোনা থেকে বিশেষ বিমানে চাপিয়ে তাঁদের প্রথমে ঢাকা পরে দিল্লিতে নামানো হয়।
হরিয়ানার কয়থলের বাসিন্দা ২৫ বছরের রবিন্দর সিং এরকমই একজন বহিষ্কৃত ভারতীয়। বিমানবন্দরে নেমেই সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যেন ধড়ে প্রাণ এল। দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে রাখায় কবজিতে, পায়ে ও কোমরে অসহ্য ব্যথা রয়েছে। দেশে ফিরতে পেরে যেন বাঁচলাম। রোজগারের আশায় আমেরিকায় গিয়েছিলাম। ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল। আমাদের আমেরিকায় একটি ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল। সেখানে খাবার, জল ও ওষুধ দেওয়া হত। দুর্ব্যবহারও করা হত। তবে ওরা বলেছিল দ্রুত ভারতে পাঠাবে। আমাদের সঙ্গে বিমানে চাপিয়ে অনেক বাংলাদেশিকেও ফেরত পাঠিয়েছে ওরা।’
[আরও পড়ুন: ‘লাভ’-‘সেক্স’ শব্দে আপত্তি ভারতীয় রেলের, স্টেশনে খুশবন্ত সিংয়ের বই বিক্রি বন্ধের নির্দেশ]
তিনি আরও জানান, ‘আমরা অনেকেই ২৫ লক্ষ করে টাকা দিয়েছিলাম দালালকে। তারপর ভুয়ো কাগজপত্র তৈরি করে আমেরিকায় ঢুকিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে ওরা। কিন্তু, এখন পুরো টাকাটাই জলে গেল।’
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ অক্টোবর মেক্সিকো থেকে ৩০০ জন ও ২৩ অক্টোবর আমেরিকা থেকে ১১৭ জনকে ভারতীয়কে বহিষ্কৃত করা হয়েছে। আরও ২০০ জনকে খুব তাড়াতাড়ি বহিষ্কার করা হবে। বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে আমেরিকা ও মেক্সিকোতে বসবাস করার অভিযোগ রয়েছে।