সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী হত্যা-পরবর্তী শিখবিরোধী দাঙ্গার একটি মামলায় দিল্লির প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সজ্জন কুমারের যাবজ্জীবন জেলের সাজা হয়েছে আগেই। অন্য মামলায় ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সরস্বতী বিহারে শিখ ধর্মাবলম্বী পিতা-পুত্রকে খুনের ঘটনায় সজ্জন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। এবার সেই জোড়া খুনের মামলায় কংগ্রেস নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি জানালেন সরকারি আইনজীবী।
সজ্জনের আইনজীবীরা দাবি খণ্ডন করে পালটা পিটিশন পেশ করেছেন। মঙ্গলবার আদালতে কাজ বন্ধ থাকায় দিল্লির নিম্ন আদালতের বিচারক দু’পক্ষের বক্তব্যের উপর আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি শুনানি করবেন। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন ওই কংগ্রেস সাংসদকে ফাঁসি দিতে আদালতে জোর সওয়াল করেন সরকারি আইনজীবী। দিল্লির সরস্বতীনগরে বাবা ও ছেলেকে খুনের ঘটনায় তাঁকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সজ্জন। ২১ ফেব্রুয়ারি বিচারক সাজা ঘোষণা করবেন। ফের যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা নাকি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে সজ্জনকে, এখন সেই দিকেই তাকিয়ে সকলে। উল্লেখ্য, এর আগে দিল্লিতে শিখবিরোধী হিংসার একটি মামলায় ২০১৮ সালে দোষী সাব্যস্ত সজ্জনের যাবজ্জীবন জেলের সাজা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি তিহার জেলে বন্দি।
২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আদালত সজ্জনের বিরুদ্ধে খুনের চার্জ গঠন করা হয়। আইনজীবীদের দাবি ছিল, ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পরই বিরাট সংখ্যক উন্মত্ত জনতা শিখদের উপরে হামলা করে। আর সেই সময়ই যশবন্তের বাড়িতে হামলা হয়। তাঁকে ও তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়। লুটপাট চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাড়িতে। যশবন্তের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। দেখা যায়, সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে বহু তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.