সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করল অসমের বন্যা পরিস্থিতি। থামছে না প্রায় মাসখানেক ধরে চলা প্রবল বর্ষণ। প্রভাবিত রাজ্যের ১৭টি জেলার প্রায় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ। বন্যার কবলে পড়ে এপর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২২ জন। লখিমপুর, নলবারি, করিমগঞ্জ ও দক্ষিন শালমারা জেলায় জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে একাধিক ব্যক্তির, জানিয়েছে প্রশাসন।
[চলবে বৃষ্টির দাপট, জানাল আবহাওয়া দপ্তর]
অসমের ৩৫টি জেলার মধ্যে ১৭টি জলমগ্ন। তবে সব থেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছে চিরাং, বঙাইগাঁও, শোণিতপুর, মরিগাঁও, মাজুলি, জোরহাট, লখিমপুর, গোলাঘাট, কাছার, ধেমাজি, বিশ্বনাথ, করিমগঞ্জ ও শিবসাগর জেলা। তবে সব থেকে বেশি দুরবস্থা বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ জেলার। ওই জেলায় প্রভাবিত প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ। তারপরই রয়েছে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার লখিমপুর। ওই জেলায় বন্যার কবলে পড়েছে প্রায় ৭৮ হাজার মানুষ। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৮ হাজার হেক্টর কৃষিজমির ফসল। বন্যায় আক্রান্ত মানুষের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ২২৮টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ওই শিবিরগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।
[চিনের উদ্বেগ বাড়িয়ে বঙ্গোপসাগরে বিশাল ভারতীয় নৌবহর]
‘অসম স্টেট ডিসাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি’ (এএসডিএমএ) সূত্রে খবর, প্রবল বৃষ্টিতে উপচে পড়েছে অসমের নদীগুলি। জোরহাট, শোণিতপুর, গোয়ালপারা ও ধুবরী জেলায় বিপদসীমার উপর বইছে ব্রহ্মপুত্র। এছাড়াও জিয়া ভরালী, দেসাং ও কুশিয়ারা নদীগুলোর জলস্তরও বিপজ্জনকভাবে বেড়ে গিয়েছে। শুধু জনবসতি নয়, বন্যায় প্রবল ক্ষতির মুখে পড়েছে একশৃঙ্গ গন্ডারের জন্য প্রসিদ্ধি কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান। বনদপ্তর সূত্রে খবর, জঙ্গল জলমগ্ন হওয়ায় মারা পড়েছে বেশ কিছু বন্যপ্রাণী। এছাড়াও শুকনো জমির খোঁজে লোকালয়ের ওই উদ্যান থেকে বেরিয়ে গিয়েছে বেশ কিছু গন্ডার। এমন অবস্থায় চোরাশিকারীদের হানার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন আধিকারিকরা।
[বায়ুমণ্ডলে ‘বিষ’, কোনও প্রাণীই বেশিদিন বাঁচবে না মঙ্গলে!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.