ফাইল ফোটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় আছে, কুকুরের লেজ নাকি কোনওদিন সোজা করা যায় না। প্রায় একই কথা বলা যেতে পারে আমাদের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও। ভারতের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে বহুবার বিভিন্ন দেশের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে নাশকতার চেষ্টাও করেছে। কিন্তু, কোনও কিছুতেই লাভ হয়নি। উলটে গত কয়েক বছরে দুবার পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে ভারত। যার মধ্যে গত বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি পাক অধিকৃত খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটে হওয়া বিমানহানার ঘটনাটি ছিল সবথেকে ভয়ানক। এর জেরে প্রায় ৩০০ জন জইশ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলেও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছিল। তারপর থেকে কিছুটা মুষড়ে পড়েছিল জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed) নেতৃত্ব।
কিন্তু, গত কয়েকমাসের চেষ্টায় ও পাকিস্তান সরকারের সক্রিয় সহযোগিতায় জইশ জঙ্গিরা বালাকোটে ফের অস্থায়ী প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তুলেছে বলে খবর গোয়েন্দা সূত্রে। জানা গিয়েছে, সেখানে মোট ২৭ জঙ্গিকে ফিঁদায়ে হামলার ট্রেনিং দিচ্ছে জইশ। ওই জঙ্গিদের মধ্যে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের আটজন যুবক রয়েছে।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, ওই জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য পাকিস্তান থেকে দুজন, পাক অধিকৃত পাঞ্জাব থেকে দুজন ও আফগানিস্তান থেকে তিনজন প্রশিক্ষককে ওই প্রশিক্ষণ শিবিরে নিয়ে গিয়েছে জইশ। এই সপ্তাহের মধ্যে ট্রেনিং শেষ করে তারা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করবে বলে খবর।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জইশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের অসুস্থতার কারণে তার ভাই ইউসুফ জঙ্গিদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। পাকিস্তানের সংসদে সম্প্রতি ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদের ডাক দিয়েছে সেখানকার অধিকাংশ সাংসদ। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে কাশ্মীর দখল করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছে। এরপরই ভারতে হামলার সুযোগ খুঁজছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.