সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষের ঘটনা উপত্যকায় লেগেই থাকে৷ রবিবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল জম্মু-কাশ্মীরের মুজগুন্দে৷ এদিনের এনকাউন্টারে এখনও পর্যন্ত তিন জঙ্গিকে নিকেশ করে ভারতীয় সেনা৷ জখম হয়েছেন ৫ জন সেনা আধিকারিক৷ স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁদের৷ শ্রীনগর-বান্দিপোরা হাইওয়ের কাছে মুজগুন্দে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পায় নিরাপত্তা বাহিনী৷ গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ওই এলাকায় হানা দেয় সেনা৷ শনিবার রাতে সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা৷ পালটা গুলি চালায় ভারতীয় সেনা৷
রবিবার সকালে ওই এলাকায় তিন জঙ্গির দেহ উদ্ধার করা হয়৷ নিকেশ হওয়া জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে৷ যদিও জঙ্গিদের নাম, পরিচয় এখনও জানা যায়নি৷ এনকাউন্টারের এই ঘটনায় পাঁচজন জওয়ান জখম হয়েছেন৷ তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে৷
J&K Police: 3 terrorists were neutralized & their bodies were retrieved. Identities&affiliations of killed terrorists are being ascertained. Incriminating materials including arms&ammunition were recovered from site of encounter. Case registered&investigation initiated in matter.
— ANI (@ANI) December 9, 2018
জঙ্গি নিকেশের ঘটনা প্রতি বছরই কমবেশি লেগেই থাকে৷ চলতি বছরে কতজন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে সে বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে ভারতীয় সেনা৷ শনিবারই সে পরিসংখ্যান জানান সেনা আধিকারিকরা৷ সরকারি সূত্রের খবর, ২০১৭ সালের নিরিখে চলতি বছর বেশি সংখ্যক কাশ্মীরি যুবক হিজবুল মুজাহিদিন-সহ একাধিক পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছে৷ সব মিলিয়ে এই বছরে প্রায় ৫০০ জন সক্রিয় জঙ্গি ছিল উপত্যকায়৷ তার মধ্যে ওই রিপোর্টে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছর ২২৩ জন জঙ্গিকে খতম করেছে সেনা৷ ভারতীয় সেনার দাবি, গত আট বছরের নিরিখে সর্বোচ্চ জঙ্গি নিকেশ হয়েছে ২০১৮-য়৷ এখনও উপত্যকায় সক্রিয় ২৪০ জন সন্ত্রাসবাদী। এর মধ্যে বিদেশিও রয়েছে। শনিবার এক সরকারি সূত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৫ জুন থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কমপক্ষে ৫১ জন সন্ত্রাসবাদীকে নিকেশ করা হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে খতম হয়েছে আরও ৮৫ জন সন্ত্রাসবাদী।
২০১৭ সাল | ২০১৮ সাল | |
খতম জঙ্গির সংখ্যা | ২১৩ জন | ২২৩ জন |
বিদেশ থেকে আসা খতম জঙ্গি | কেউ না | ৯৩ জন |
নাগরিকের মৃত্যু | ৪০ জন | ৭৭ জন |
নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু | ৮০জন | ৮০জন |
উলটো দিকে, ২৫ জুন থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিরাপত্তারক্ষী-সহ নিহত হয়েছেন ৮ জন। জখম আরও ২১৬ জন। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নিহত হয়েছেন মাত্র ২ জন। জখম যদিও ১৭০ জন। এই আহতদের বেশিরভাগই আবার জখম হয়েছেন বিক্ষোভকারীদের পাথরে। গত আট বছরের তুলনায় এবছর অধিক সংখ্যক জঙ্গি খতম হওয়ার ঘটনায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন সেনা আধিকারিকরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.