সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের হটস্পট এবং কন্টেনমেন্ট জোনগুলির প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, আবার সুস্থও হয়েছেন। এদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল থাকায় কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। আইসিএমআরের এক সমীক্ষায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এই সমীক্ষার রিপোর্ট অবশ্য এখনও প্রকাশ করেনি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (Indian Council for Medical Research)। আপাতত তা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিবের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিজেদের সুত্রকে উদ্ধৃত করে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, দেশে করোনার গতিপ্রকৃতি বুঝতে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত দশটি শহর এবং ২১টি রাজ্যের ৬০টি গ্রামীণ জেলা নিয়ে একটি সমীক্ষা করে আইসিএমআর। যে শহরগুলিতে সমীক্ষা করা হয় সেগুলি হল, মুম্বই, থানে, পুণে, আহমেদাবাদ, সুরাট, দিল্লি, কলকাতা, ইন্দোর, জয়পুর এবং চেন্নাই। সমীক্ষায় একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। বলা হচ্ছে, কন্টেনমেন্ট জোন এবং হটস্পট এলাকার অন্তত ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষ ইতিমধ্যেই করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। অনাক্রম্যতা ভাল থাকায় তাঁরা সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। ওই সমীক্ষাতেই আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। বলা হচ্ছে, মুম্বই, দিল্লি, পুণে এবং আমেদাবাদে দেশের অন্য হটস্পট এলাকার তুলনায় সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা ১০০ গুণ বেশি।
উল্লেখ্য, সরকারিভাবে ভারতের করোনা সংক্রমণকে এখনও গোষ্ঠী সংক্রমণ আখ্যা দেয়নি ICMR। দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ বা স্থানীয় স্তরের সংক্রমণ হচ্ছে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখতেই লক্ষনহীণ করোনা আক্রান্তদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে সংস্থাটি। সাধারণ মানুষের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি আছে কিনা, সেটা পরীক্ষা করতেই এই দশটি শহর এবং ৬০টি জেলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। যাতে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য এসেছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যদি সত্যিই কন্টেনমেন্ট জোনে ৩০ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে অন্তত ওই এলাকাগুলিতে গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে বলে মেনে নিতেই হবে সরকারকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.