সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে পাক সেনা ও জঙ্গি হানায় যখন জেরবার দেশ। ঠিক তখনই দেশের অভ্যন্তরে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মাওবাদীরা। সুকমার মাও হামলায় ২৫ সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর স্মৃতি এখনও টাটকা। এর মধ্যেই মহারাষ্ট্র ও ছত্তিশগড়ে পরপর হামলা চালাল মাওবাদীরা। দু’টি পৃথক ঘটনায় ১ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন জওয়ান।
[যোগীর রাজ্যে অশ্লীল গানে মদ্যপ পুলিশের ‘ঠুমকা’, ভাইরাল ভিডিও]
হাত গুটিয়ে বসে নেই পুলিশ ও সেনাও। সুকমা হামলার জেরে চার সন্দেহভাজন মাওবাদীকে গ্রেপ্তার করেছে ছত্তিশগড় আর্মড ফোর্স (CAF) এবং পুলিশের জয়েন্ট স্কোয়াড। ধৃতদের মধ্যে তিনজনের নাম কওয়াসি হাদমা (৩২), রামনাথ নাগ (২১) ও বুচা ধুরওয়া (২৪)। এর মধ্যে দু’জন ওড়িশার বাসিন্দা এবং একজন নাবালক বলে জানা গিয়েছে। ঝাড়খণ্ডের লোহারদাগা জেলাতেও চালানো হয়েছে তল্লাশি অভিযান। ঝাড়খণ্ড পুলিশ ও সিআরপিএফের ১৫৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের যৌথ অভিযানে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তালিকায় রয়েছে লাইট মেশিন গান, ইউএস মেড সেমি অটোমেটেড রাইফেল, এ কে-৪৭, সেলফ-লোডিং রাইফেল, ইনসাস রাইফেল, লোডেড ম্যাগাজিনের মতো অত্যাধুনিক অস্ত্র।
[জঙ্গিদের খোঁজে শোপিয়ানে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু সেনার]
এদিকে বুধবার মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলিতে ব্রহ্মগড়ে সি-৬০ ফোর্সের জওয়ানদের তল্লাশি অভিযান চলাকালীন ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ ঘটনায় মাওবাদীরা। জওয়ানদের লক্ষ্য করে চালানো হয় গুলি। জওয়ানরাও প্রত্যুত্তর দেন। দুই পক্ষের গুলি বিনিময়ে অন্তত ১২ জন জওয়ান আহত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, এদিনই গড়চিরৌলিতে মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলি বিনিময়ে এক সিআরপিএফ জওয়ান সহ মহারাষ্ট্রের দুই পুলিশকর্মী জখম হন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই তল্লাশি অভিযানে নেমেছিলেন সি-৬০ জওয়ানরা।
[কুকুরের প্রস্রাবকে কেন্দ্র করে বচসায় চলল গুলি, আহত ৪]
বৃহস্পতিবার ছত্তিশগড়ের কোন্দাগাও জেলায় এক গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে মাওবাদীরা। পুলিশের চর সন্দেহে ওই ব্যক্তিকে মারা হয়েছে বলে পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে।
[বন্ধ হয়ে গেল গান্ধীজির ছোটবেলার স্কুল]