সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স মোটে পাঁচ বছর। কিন্তু উচ্চারণ নির্ভুল। হোঁচট না খেয়ে পড়ে যেতে পারে গীতা। আবৃত্তিতে তাই বয়সে বড়দের সে হেলায় হারিয়ে ছিনিয়ে নিল সেরার পুরস্কার। পাঁচ বছরের মুসলিম কন্যা ফিরদৌসের এই সাফল্য যেন গোটা দেশের কাছেই অত্যন্ত গর্বের ও সম্মানের।
[ নকশাল হামলায় শহিদদের পরিবারকে কোটি টাকা দান অক্ষয়ের ]
ওড়িশার বাসিন্দা ফিরদৌস। প্রথম শ্রেণির ছাত্রী সে। কিন্তু এই বয়সেই তার গীতা পাঠের দক্ষতা প্রশ্নাতীত। এমন একটা সময় সে এই কৃতিত্বের নমুনা রাখল, যখন মুসলিম মহিলাদের উপর নেমে আসছে একের পর এক আক্রমণ। অভিনেত্রী জায়রা ওয়াসিমের ঘটনার স্মৃতি এখনও ফিকে হয়নি। কাশ্মীরি কন্যাকে মুখ্যমন্ত্রী রোল মডেল বলায় খেপেছিলেন একশ্রেণির কাশ্মীরি। শেষমেশ ভয় পেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন তিনি। সুহানা সইদ নামে এক গায়িকা হিন্দুদের ভক্তিগীতি গেয়ে কট্টরবাদীদের আক্রমণের মুখে পড়েছিল। একই অবস্থা নাহিদা আফরিনের। মোটে ১৬ বছরের মেয়ে গান গাওয়ায় কট্টরবাদীদের ফতোয়ার মুখে পড়েছে। ঠিক সেই সময়েই এক মুসলিম পরিবারের সন্তান হয়েও যেভাবে গীতাপাঠে নিজের দক্ষতার প্রমাণ রেখেছে তা নজিরবিহীন। এর আগে ইসকনের আয়োজিত এক গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে সেরা হয়েছিলেন ১২ বছরের মুসলিম কিশোরী।
[ Jio-কে টেক্কা! খুব সস্তায় রোজ ২ জিবি করে ডেটা দিচ্ছে BSNL ]
সোভানিয়া রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের ছাত্রী ফিরদৌস। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানাচ্ছেন, যেদিন থেকে সে স্কুলে ভর্তি হয়েছে, সেদিন থেকেই তার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় মিলেছে। তাঁর স্মৃতিশক্তিও বেশ ভাল। তারই প্রমাণ পাওয়া গেল এই প্রতিযোগিতায়। একটুও হোঁচট না খেয়ে, ভুল না বলে গীতা আবৃত্তি করল সে। তার থেকে বয়সে দ্বিগুন প্রতিযোগীও ছিল। কিন্তু তাদের সকলকে ছাপিয়ে যায় সে। বিচারকরা তাঁর পারফরম্যান্সে এতটাই খুশি যে একশোর মধ্যে নব্বই দিতে কারও কুণ্ঠা হয়নি।
স্বভাবতই মেয়ের এই কৃতিত্বে খুশি মা আরিফা বিবি। হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ গীতাকে যে তাঁর মেয়ে ভালবাসে ও আবৃত্তির প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে, এ খবরই তৃপ্তি দিচ্ছে তাঁকে। ধর্মীয় গোঁড়ামি, মৌলবাদ যখন ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে তখন ফিরদৌসের এই কৃতিত্ব আনন্দ বয়ে আনছে গোটা দেশের জন্যই।
[ রাতের খাবার খেয়ে এঁটো বাসন ফেলে রাখেন রাতভর? সর্বনাশ! ]