Advertisement
Advertisement

শরীরে তেল মালিশে বাধ্য করত ধর্মগুরু, তবু আশ্রম ছাড়তে নারাজ যুবতীরা

স্বঘোষিত ধর্মগুরুর আশ্রমে দিব্যি রয়েছেন ৭২ যুবতী।

72 girls found staying in Raj ashram run by self-styled godman
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 7, 2018 12:45 pm
  • Updated:January 7, 2018 12:45 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোহিনী আশ্রম কাণ্ডে স্বঘোষিত ধর্মগুরু বীরেন্দ্র দেব দীক্ষিতের রাজস্থানের আশ্রম থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭০ জনেরও বেশি যুবতী। রবিবার এই কথা জানিয়েছে পুলিশ।

গত ২৪ ডিসেম্বর দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের একাধিক আশ্রমে অভিযান চালিয়ে পুলিশ স্বঘোষিত ধর্মগুরু বীরেন্দ্রর বেশ কয়েকটি আশ্রম থেকে ৪৭ জন মহিলা ও ৬ জন নাবালিকাকে উদ্ধার করে। বীরেন্দ্রর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও বলপূর্বক মহিলাদের আটকে রাখার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে সিবিআই। এরপরই দেশ জুড়ে ওই ধর্মগুরুর ছড়িয়ে থাকা বিশাল নারী পাচার নেটওয়ার্কের শিকড়ের খোঁজে নামে পুলিশ। শনিবার রাজস্থানের সিরোহি জেলার আবু রোডে এরকমই এক আশ্রমে হানা দেন পুলিশ ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের সদস্যরা। সেখানে হানা দিয়ে পুলিশকর্তাদের চক্ষু চড়কগাছ। আশ্রমের ভিতর অন্তত ৭২ জন যুবতী দিব্যি রয়েছেন। আধ্যাত্মিক কাজকর্মের জন্যই স্বেচ্ছায় আশ্রমে রয়েছেন তাঁরা, দাবি ওই যুবতীদের। কেউই বাড়ি ফিরতে চান না। বরং পুলিশকে চলে যেতে বলেন। আবু রোড পুলিশ স্টেশনের স্টেশন হাউস অফিসার মিঠু লাল পিটিআইকে জানিয়েছেন, তাঁরা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না কোন জাদুবলে ওই মহিলারা মুখ খুলছেন না। তাঁদের কোনও মাদক দেওয়া হয় কি না সেটাও পুলিশ দেখছে। আশ্রমের ভারপ্রাপ্তদের কাছে ওই মহিলাদের পরিচয়পত্র চাওয়া হলেও মেলেনি। পুরোটাই পুলিশের কাছে সন্দেহজনক ঠেকছে।

Advertisement

[ধর্মগুরুর আশ্রমে রমরমিয়ে মধুচক্র, আজই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সম্ভাবনা]

গতবছরের ডিসেম্বর মাসে রাম রহিমের মতোই বীরেন্দ্রর কীর্তি প্রকাশ্যে আসে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দায়ের করা জনস্বার্থ মামলায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। দেখা যায়, দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে বীরেন্দ্রর বহু আশ্রমেই কিশোরী ও যুবতীদের বলপূর্বক আটকে রেখে যৌনদাসী বানিয়ে রাখা হয়। অন্যের শয্যায় পাঠানো হত। মহিলাদের দেহব্যবসায় নামিয়ে ওই অভিযুক্ত ধর্মগুরু প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছে। গোড়ার দিকে তার মতলব কেউ বুঝতে পারত না। নিজেকে ধর্মগুরু বলেই পরিচয় দিত সে। আধ্যাত্মিক বিশ্ববিদ্যালয় নামে আশ্রম খুলে সাধারণ মানুষকে আশ্রমের দিকে টেনে আনত সে। বহু অভিভাবকই তাঁদের কন্যাদের এই আশ্রমে রেখে আসতেন। ছুটির সময় ধর্মশিক্ষা পাবে মেয়েরা, এমনটাই প্রত্যাশা ছিল অভিভাবকদের। কিন্তু সেই ফাঁদ পেতেই নাবালিকাদের ভোগ করত ওই স্বঘোষিত ধর্মগুরু। অভিযোগ, স্ট্যাম্প পেপারে সে লিখিয়ে নিত যে নাবালিকারা স্বেচ্ছায় আশ্রমে এসেছে। কেউ তাদের কোনওরকম জোর করেনি। এরপরই কুকর্মে লাগানো হত তাদের। অনুগামীদের মেয়েদের আশ্রমে যোগ দেওয়ার ব্যাপারেও জোর খাটাত ওই বাবা। তারপর চলত অবাধে যৌনাচার। এক ভক্ত জানাচ্ছেন, নগ্ন হয়ে শুয়ে পড়ত বাবা। তারপর নাবালিকাদের তার শরীরে তেল মালিশ করার নির্দেশ দেওয়া হত। এখন প্রশ্ন উঠছে, এত অত্যাচার হলেও কেন আশ্রম ছাড়তে চাইছেন না মহিলারা? পুলিশ ও সিবিআই গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখছে।

Advertisement

[ঋতুমতী হলেই ভক্তের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, ফের কাঠগড়ায় স্বঘোষিত ধর্মগুরু]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ