সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সেপ্টেম্বরে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মাইসুরুর (Mysuru) এক লিঙ্গায়েত ধর্মগুরু (Lingayat Monk) শিবমূর্তি। এবার কর্ণাটকের (Karnataka) একটি মঠে এক লিঙ্গায়েত ধর্মগুরুর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। ওই ধর্মগুরু আত্মহত্যা করছেন বলে অনুমান পুলিশের। মঠে তাঁর ঘর থেকে দু’পাতার সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে বলেও দাবি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রামনগর জেলার কাঞ্চুগাল বন্দেমাঠ এলাকায় অবস্থিত মঠটি। নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় বাসবলিঙ্গ স্বামীজী নামে ওই ধর্মগুরুর দেহ। ঘটনার খবর পাওয়ামাত্র মঠে পৌঁছায় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন ধর্মগুরু। বাসবলিঙ্গ স্বামীজীর ঘর থেকে দু’পাতার সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রয়াত স্বামীজী গত ২৫ বছর ধরে রামনগরের ওই মঠের প্রধান সন্ন্যাসীর পদে ছিলেন। উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে প্রয়াত ধর্মগুরু অভিযোগ করেছেন, মঠের বেশ কয়েকজন সতীর্থ তাঁকে পদ থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র শুরু করছিল। যদিও ষড়যন্ত্রকারী কারা, কেন তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন, সেই বিষয়ে প্রয়াত লিঙ্গায়েত গুরু কিছু লিখিছেন কিনা সুইসাইড নোটে, সেই বিষয়ে মুখ খোলেনি পুলিশ। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে ১৫ ও ১৬ বছরের দুই কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ছিলেন লিঙ্গায়েত ধর্মগুরু শিবমূর্তি। তাঁকে প্রাথমিক ভাবে আটক করার পর ছেড়ে দেওয়া হলে বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল মাইসুরু শহর। শেষ পর্যন্ত গত সেপ্টেম্বরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ। মাইসুরু পুলিশের দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যাচ্ছে, ওই দুই নির্যাতিতা কিশোরী মুরুঘা মঠ পরিচালিত স্কুলে পড়ত। ১৫ ও ১৬ বছরের ওই দুই কিশোরীকে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে ধর্ষণ করেন শিবমূর্তি। পরে বেসরকারি এক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্ত কথা খুলে বলে নির্যাতিতারা। এরপরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.