সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামীকে খুন করে রান্নাঘরের স্ল্যাবে লুকিয়ে রাখল স্ত্রী। মাসখানেক ধরে সেখানেই রান্না করল মহিলা। নিহতের ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তাতে উদ্ধার হয় পচাগলা দেহ। নিহতের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কী কারণে স্বামীকে খুন করল মহিলা, তা জানতে ধৃতকে জেরা করছে পুলিশ।
মধ্যপ্রদেশের অনুপ্পুরের কারোন্দির বাসিন্দা মহেশ বানাওয়াল। বছর পঁয়ত্রিশের ওই ব্যক্তি পেশায় আইনজীবী। স্ত্রী প্রমীলা এবং চার সন্তানকে নিয়েই সংসার তাঁর। গত ২২ অক্টোবর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান মহেশ। স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন নিহতের স্ত্রী। এভাবেই কেটে যায় প্রায় মাসখানেক। কোনও খোঁজ মেলেনা মহেশের। বৃহস্পতিবার থানায় হাজির হন মহেশের দাদা অর্জুন বানাওয়াল। তাঁর দাবি, নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর থেকে তাঁর স্ত্রী মহেশের বাড়িতে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। এমনকী প্রমীলা মহেশের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার জন্য অর্জুনকেই দায়ী করে। তিনি পুলিশকে জানান আইনজীবী ভাইয়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে মহেশের স্ত্রী প্রমীলার কারসাজি।
অর্জুনের কথা শুনে ওই গ্রামে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। স্থানীয়দের সঙ্গে সামান্য কথাবার্তা বলার পরই সোজা মহেশের বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ। কোনও কিছু না বলেই এক্কেবারে বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়েন পুলিশকর্মীরা। তাঁরা দুর্গন্ধ পেতে থাকেন। শুরু হয় জোরদার তল্লাশি। রান্নাঘরের কাছে পৌঁছনোমাত্রই দুর্গন্ধ যেন আরও প্রকট হতে থাকে। বাধ্য হয়ে রান্নাঘরের স্ল্যাবে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ওই স্ল্যাব থেকে বেড়িয়ে আসে মহেশের পচাগলা দেহ। ঠিক যেখান থেকে দেহ উদ্ধার হয় সেখানেই প্রায় মাসখানেক রান্না করছিল প্রমীলা, যা দেখে তাজ্জব হয়ে যান পুলিশকর্মীরা।
কিন্তু কেন স্বামীকে খুন করে রান্নাঘরের স্ল্যাবে লুকিয়ে রাখতে গেল ওই গৃহবধূ? প্রমীলার দাবি, স্বামী মহেশের সঙ্গে তার ভাসুরের স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল। স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক মানতে পারেনি সে। তাই ভাসুরের সঙ্গে হাত মিলিয়েই স্বামীকে খুন করে প্রমীলা। যদিও খুনের কথা উড়িয়ে দিয়েছে ওই মহিলার ভাসুর। পুলিশ আপাতত নিহতের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে জেরা করে ঘটনার কিনারা করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.