প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে রান্নার গ্যাস, সব ক্ষেত্রেই এখন বাধ্যতামূলক হয়ে গিয়েছে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণ। ফলে এই প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তিও কম হচ্ছে না। আমজনতার মুশকিল আসান করতে অনলাইন পরিষেবাও চালু করা হয়েছে। কিন্তু তাও নিরাপদ নয়। অনলাইনে দেখে নিতেই পারেন, আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্ত কিনা। কিন্তু সমস্যা হল, শুধু আপনিই নন, একইভাবে যে কোনও ব্যক্তি জেনে যেতে পারেন কোন কোন ব্যাঙ্কে আপনার অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অর্থাৎ কোটি কোটি মানুষের গোপনীয়তায় উঁকি দেওয়া এখন জলেই মতোই সহজ।
বিষয়টি আরও একটু বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। ব্যাঙ্ক ম্যাপার ওয়েবসাইট থেকে আপনি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও আধার সংযুক্তিকরণের সব তথ্য পেতে পারেন। এই অনলাইন পরিষেবা আপনার রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড অথবা ওটিপি পাঠায়। যার মাধ্যমে আপনি অনায়াসেই জানতে পারবেন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আপনার আধার যুক্ত কিনা। কিন্তু সমস্যা হল এছাড়াও আরেকটি প্রক্রিয়ায় এই তথ্য পাওয়া যায়। তাতে আবার ওটিপি-র প্রয়োজনও হয় না। দরকার শুধু আধার নম্বর। আর সেই কারণেই আপনার আধার নম্বরটি অন্য কোনও ব্যক্তি হাতে পেলে তিনিও জেনে নিতে পারবেন আপনার ব্যাঙ্কের বিস্তারিত তথ্য।
গত ডিসেম্বরে UIDAI একটি নম্বর টুইট করেছিল। যার মাধ্যমে ব্যাঙ্ক ও আধার সংযুক্তিকরণের বিষয়ে জানা যাবে। কীভাবে কাজ করে এই নম্বরটি? মোবাইলে *৯৯*৯৯*১# ডায়াল করুন। যার জন্য আপনার চার্জ লাগবে ৫০ পয়সা। তারপরই আপনাকে ১২ সংখ্যার আধার কার্ড টাইপ করতে বলা হবে। নম্বরটি সঠিক টাইপ করেছেন কিনা জানতে চাওয়া হয়। আপনি সম্মতি দিলেই ব্যাঙ্কের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে আপনার সামনে। অর্থাৎ এই প্রক্রিয়ায় কোনও ওটিপি-র প্রয়োজন হয় না। আর সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হল, কেউ আপনার ব্যাঙ্কের তথ্য খতিয়ে দেখলেও আপনি মোবাইলে কোনও নোটিফিকেশন পাবেন না। যদিও সব ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া একইভাবে কাজ করে না। উদাহরণ স্বরূপ, এলাহাবাদ ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকলে যেমন সহজেরই তা দেখিয়ে দেবে, ইয়েস ব্যাঙ্কে থাকলে দেখাবে না। পাশাপাশি আপনার আধার যদি একাধিক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকে, সেক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়ায় একটি ব্যাঙ্কের তথ্যই দেখায়।
উল্লেখ্য, আধারের তথ্য ফাঁস হচ্ছে হোয়্যাটসঅ্যাপের খোলা বাজারে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ট্রিবিউন-এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই হইচই পড়েছিল গোটা দেশে। যার জেরে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকের নামে এফআইআর দায়ের করে ইউআইডিএআই। এবার আধার তৈরি সংস্থার এই নিরাপত্তাহীন প্রক্রিয়া নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.