৭ চৈত্র  ১৪২৯  বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

শ্রদ্ধার হাড় মিক্সার গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করেছিল আফতাব! পুলিশের চার্জশিটে নৃশংসতার তথ্য

Published by: Subhajit Mandal |    Posted: February 7, 2023 9:01 pm|    Updated: February 7, 2023 9:02 pm

Aaftab Poonawala had used a stone grinder on the bones of live-in partner Shraddha Walkar | Sangbad Pratidin

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু প্রেমিকাকে খুন করে দেহ ৩৫ টুকরো করাই নয়। দিল্লির শ্রদ্ধা খুনে (Shraddha Murder) অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালার নৃশংসতা আরও অনেক ভয়ংকর এবং নির্মম। দিল্লি পুলিশ আফতাবের বিরুদ্ধে ৬,৬০০ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে। আর তাতেই প্রকাশ্যে আসছে আফতাবের একের পর এক নির্মমতার চিত্র। দিল্লি পুলিশের চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, আফতাব প্রেমিকাকে খুন করে ৩৫ টুকরোই শুধু করেনি। প্রমাণ লোপাট করতে তাঁর হাড়গোড় মিক্সার গ্রাইন্ডারে ঢুকিয়ে গুঁড়ো করেছিল।

দিল্লি পুলিশের চার্জশিট বলছে, ১৮ মে শ্রদ্ধাকে খুনের আগে কেনাকাটা এবং খরচ নিয়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছিল আফতাবের (Aaftab Poonawala)। তার পরই রাগের বশে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য একাধিক পরিকল্পনা করে সে। খুন করার পর শ্রদ্ধার দেহ লোপাটের জন্য প্লাস্টিক ব্যাগ কিনে আনার চিন্তাভাবনা করেছিল আফতাব। কিন্তু সহজে ধরা পড়ার ভয়ে সেপথে হাঁটেনি সে। ঠান্ডা মাথায় ভাবার জন্য সে নাকি চিকেন রোল অর্ডার করে সে।

[আরও পড়ুন: ‘মোদি ও আদানির মধ্যে কী সম্পর্ক?’ সংসদে প্রশ্ন তুলতেই রাহুলকে থামিয়ে দিলেন স্পিকার]

পুলিশ (Delhi Police) সূত্রে খবর, এরপরই আরও নৃশংস পথ বেছে নেয় সে। শ্রদ্ধার মাথা কেটে ফেলার পর ঘরে ৩ মাস ধরে রেখে দেয় অভিযুক্ত আফতাব। তার পর সেই মাথা ফেলে দিয়ে আসে। আর শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করে কাটার সিদ্ধান্ত নেয় তাঁর প্রেমিক। একটি করাত, হাতুড়ি এবং ৩টি ছুরি কিনে এনেছিল। শেষপর্যন্ত অবশ্য সে হাড়গোড় মিক্সার গ্রাইন্ডারে দিয়ে পেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেয় সে। এই সব হাড়হিম করা তথ্য এখন প্রকাশ্যে আসছে।

[আরও পড়ুন: ‘তুরস্কের ভূমিকম্প মনে করিয়ে দিচ্ছে ভুজের বিপর্যয়’, বিজেপির বৈঠকে আবেগপ্রবণ মোদি]

উল্লেখ্য গত বছর ১৮ মে দিল্লির মেহেরৌলিতে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে তাঁর প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। খুনের পর লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরো করে আফতাব। প্রথমে তা রেখে দেয় ফ্রিজে। এরপর দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় তা ফেলতে থাকে সে। আফতাবকে ভালবেসে পরিবার, চাকরি, শহর ছেড়ে দিল্লিতে চলে এসেছিল তরুণী। যদিও তাঁর পরিণতি হয় মর্মান্তিক। তারপর থেকেই জেলে রয়েছে সে। প্রেমিকাকে খুনের পর দেহ লোপাট করতে একের পর এক কাণ্ড ঘটিয়েছে সে। তা সত্ত্বেও শ্রদ্ধা নির্বিকার।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে