সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মালয়ালম অভিনেত্রী ভাবনাকে অপহরণ এবং শ্লীলতাহানি কাণ্ডে উঠে এল একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনায় ধৃত তিন অভিযুক্তকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, গোটা ঘটনাই ছিল পূর্বপরিকল্পিত। নায়িকার নগ্ন ছবি তুলে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করার উদ্দেশ্যেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিল সাতজনের ওই দল। শুধু তাই নয়, পুলিশের অনুমান, এর পিছনে এক জনপ্রিয় মালয়ালম অভিনেতা এবং রাজনীতিবিদের দুই ছেলেরও বড় ভূমিকা রয়েছে।
(ফের মালদা থেকে উদ্ধার ২০০০ টাকার জাল নোট, গ্রেপ্তার ১)
গত শুক্রবার রাতে কোচির রাস্তায় চলন্ত গাড়িতে ভাবনাকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, শ্লীলতাহানির পর দুষ্কৃতীরা তাঁর ছবি ও ভিডিও তোলে। পুলিশের কাছে যে তথ্য প্রমাণ এসে পৌঁছেছে, তা থেকে অনুমান করা হচ্ছে, গোটা ঘটনায় এলডিএফ রাজনৈতিক দলের এক নেতার দুই ছেলে এবং ভাবনারই এক সহকর্মী যুক্ত ছিলেন। সূত্রের খবর, ওই অভিনেতা এবং তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ভাবনার ভালই সম্পর্ক ছিল। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদের পরিস্থিতি তৈরি হলে ভাবনা অভিনেতার পাশে না দাঁড়িয়ে স্ত্রীর পক্ষ নিয়েছিলেন। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হন ওই মালয়ালম তারকা। তারপর থেকেই ভাবনার সঙ্গে অভিনেতার সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। শোনা যায়, ছবিতে কাজ পেতেও ভাবনার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। তারপর রাজনীতিকে হাতিয়ার করে মালয়ালম ছবির জগতে ঢুকে পড়েন এলডিএফ নেতার দুই ছেলে। সেখানেই অভিনেতার সঙ্গে পরিচয় তাঁদের। সূত্রের খবর, ভাবনাকে অপহরণ ও শ্লীলতাহানির জন্য দলের নেতা সুনীল কুমারকে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল।
(লাস্যময়ী জাহ্নবীর ‘ঠুমকা’য় মজল নেটদুনিয়া)
ধৃতদের মধ্যে একজন জেরায় জানায়, দলকে ওই কাজের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দেবে বলে জানিয়েছিল সুনীল। তবে সুনীলকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সাতজনের বিরুদ্ধে অপহরণ এবং ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সাতজনের মধ্যে বাকি চারজনের খোঁজ চালাচ্ছে তদন্তকারী দল।