সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এশিয়া মহাদেশে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে আধিপত্যের লড়াই। প্রতিপক্ষের দিকে নজর রেখে চলছে ঘুঁটি সাজানো। একে অপরের শক্তি যাঁচাই করে গড়ে তোলা হচ্ছে কূটনৈতিক মৈত্রীর সম্পর্ক। এমনই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘লুক ইস্ট পলিসি’ মেনেই পদক্ষেপ করছে ভারত। এই পলিসির অন্তর্গত, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জলরাশিতে টহল দিতে রওনা হয়েছে নৌসেনার দুই রণতরী।
[চিনা ‘চক্রান্ত’ ফাঁস করলেন সেনাপ্রধান রাওয়াত, চটে লাল বেজিং]
নৌসেনা সূত্রে খবর, শুক্রবার বিশাখাপত্তনম থেকে রওনা দিয়েছে নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ আইএসএস সতপুরা ও আইএনএস কামাদত। ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ ইস্ট এশিয়ান কান্ট্রিস’ (এশিয়ান)-এর একটি নিরাপত্তা সংক্রান্ত সন্মেলনে অংশগ্রহণ করবে রণতরী দুটি। প্রায় তিন মাসের অভিযানে সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড-সহ ১২ দেশের বন্দরে নোঙর করবে ভারতীয় নৌসেনার দুই যুদ্ধজাহাজ। এছাড়াও মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে চলা একটি বিপর্যয় মোকাবিলা মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে জাহাজ দু’টি।
[পাক মাটিতেই রমরমা লস্কর-জৈশের, এই প্রথম স্বীকার করল ইসলামাবাদ]
যদিও প্রায়শই এমন অভিযান চালায় নৌসেনা, এবারের অভিযান তাৎপর্য্যপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। দক্ষিণ চিন সাগরে লালফৌজের গতিবিধির উপর নজরদারি চালানোই এই অভিযানের উদ্দেশ্য বলে মনে করছেন তাঁরা। দক্ষিণ চিন সাগরের পুরোটাই নিজের বলে দাবি করে এসেছে চিন। প্রত্যুত্তরে ওই অঞ্চলে টহল বাড়ায় মার্কিন রণতরী। ওয়াকিবহল মহল মনে করছে ওই অঞ্চলে ‘ড্রাগন’কে রুখতে অলিখিত চুক্তি মেনে চলছে আমেরিকা, জাপান, ভিয়েতনামের মতো দেশগুলি। এবার রণতরী পাঠিয়ে দক্ষিণ চিন সাগরে ওয়াশিংটনের ‘ফ্রিডম অফ নেভিগেশন’ নীতিতেই সিলমোহর দিল দিল্লি।
উল্লেখ্য, সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে শৈত্য জমছে পাকিস্তান-আমেরিকা সম্পর্কে। একই সময়ে উষ্ণ হচ্ছে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্বন্ধ। ফলে পাকিস্তান ও চিন দু’দেশকেই চাপে রেখে নৌসেনার অভিযানে সন্মতি দিয়েছে ভারত বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.