Advertisement
Advertisement

Breaking News

সকালে দরজি রাতে খুনি, ৩০ জনকে মেরেও নির্লিপ্ত এই সিরিয়াল কিলার

দারিদ্র থেকে মুক্তি দিতেই খুন!

Adesh Khamra, Bhopal’s ‘Darzi of Death’
Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 14, 2018 5:04 pm
  • Updated:September 14, 2018 5:04 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘বাইশে শ্রাবণ’ ছবিটিকে মনে পড়ে? দিনেরবেলা যে ছিল বাড়ির চাকর, রাতের অন্ধকারে সেই হয়ে উঠত ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার৷ অথবা রমন রাঘবের কথা অনেকেরই জানা৷ একে একে ৪২ জনকে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছিল সে৷ অথবা কলকাতার সেই ‘স্টোন ম্যান’ সুরিন্দর কোলিকে৷ রাতের অন্ধকারে ফুটপাথবাসীর মাথা থেঁতলে খুন করাই যার নেশা ছিল৷ মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা আবেশ খামরা এদের চেয়ে আলাদা কেউ নয়৷ সকালে যে ব্যক্তি দরজির কাজ করত, রাতের অন্ধকারে সেই হয়ে উঠত নৃশংস নরঘাতক৷ সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের এক জঙ্গল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আবেশ খামরা এবং তার এক সহযোগী জয়করনকে৷ তাদের গ্রেপ্তার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশেরই দোর্দণ্ডপ্রতাপ পুলিশ অফিসার বিট্টু শর্মা৷

[মোদি বিরোধিতার ‘পুরস্কার’! চন্দ্রবাবু নায়ডুকে গ্রেপ্তারির নির্দেশ]

Advertisement

জানা গিয়েছে, ভোপালে একটি ছোট দরজির দোকান চালাত ধৃত আবেশ৷ কোনও মতে টেনেটুনে চলত সংসার৷ সকালে দরজির কাজ করলেও, রাতের অন্ধকারে সেই হয়ে উঠত মানুষখেকো ভয়ংকর খুনি৷ ইতিমধ্যে নিজের দোষ স্বীকার করেছে এই ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার৷ জানিয়েছে, ২০১০ থেকে এই হত্যালীলা শুরু করেছিল সে৷ এখনও পর্যন্ত ৩০ জনকে খুন করেছে৷ প্রথমবার খুন করে অমরাবতীতে৷ তারপর একে একে নাসিক, ভোপাল-সহ মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জেলা এবং মহারাষ্ট্র, বিহার, ও উত্তরপ্রদেশেও খুন করেছে সে৷ তার টার্গেট থাকত ট্রাক চালক ও তাদের সহযোগীরা৷ পুলিশকে দেওয়া বয়ানে দেশের এই ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার জানায়, কৃতকর্মের জন্য কোনও অনুশোচনা নেই তার৷ কারণ, গরিব ট্রাক চালক ও সহযোগীদের দারিদ্র থেকে মুক্তি দেওয়াই তার মূল লক্ষ্য৷ সেই কারণেই খুন করত সে৷

Advertisement

[পাঁচদিন ধরে অভুক্ত, এবার গ্রামবাসীর বাড়িতে ঢুকে খাবার চাইল জইশ জঙ্গিরা]

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে খুন হন দুই ট্রাক চালক৷ সেই সূত্র ধরেই উঠে আসে আবেশের নাম৷ তদন্তের খাতিরে মধ্যপ্রদেশে পাড়ি দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি দল৷ আবেশের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে এবং সেখানে তদন্ত চালিয়ে বিষয়টা আরও স্পষ্ট হয় তদন্তকারীদের কাছে৷ অনেকে বিশ্বাসই করতে পারেন না যে, তাঁদের পাশের বাড়িতেই এমন ভয়ংকর একজন ‘রাক্ষসরূপী মানুষ’ বাস করত৷ গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের এক জঙ্গলে অভিযান চালিয়ে আবেশকে গ্রেপ্তার করেন এসপি বিট্টু শর্মা৷ জুডোতে এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদক এবং তাইকোন্ডতে ব্ল্যাক বেল্ট ধারী বিট্টুর উপরই ভরসা ছিল পুলিশ প্রশাসনের৷ তাঁর সঙ্গে এই খুনের তদন্ত চালাচ্ছেন এসপি লোধা রাহুল কুমার৷ এটাই তাঁদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মামলা৷ এক কথায় স্বীকার করছেন দু’জনেই৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ