Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে বায়ুসেনা অফিসারকে টুকরো টুকরো করল সহকর্মী

নীরজ গ্রোভার হত্যা-কাণ্ডের ছায়া!

Affair with wife, IAF sergeant hacks corporal body into pieces
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 22, 2017 6:44 am
  • Updated:February 22, 2017 6:47 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জের, বায়ুসেনার অফিসারকে খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করল তাঁর সহকর্মী। টুকরো টুকরো করে দেহ একাধিক প্লাস্টিকে ভরে লুকিয়ে রেখেছিল ওই বায়ুসেনা আধিকারিক। মৃত অফিসারের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে খণ্ড-বিখণ্ড দেহের সন্ধান পায় পুলিশ। এরপর মূল অভিযুক্ত বায়ুসেনার সার্জেন্ট সুলেশ কুমার, তার স্ত্রী অনুরাধা প্যাটেল এবং শ্যালক শশী ভূষণের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। প্রথম দুজনকে গ্রেপ্তার করলেও শ্যালক শশী এখনও পলাতক। খুনের ঘটনায় নীরজ গ্রোভার হত্যা-কাণ্ডের ছায়া খুঁজে পাচ্ছে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা। হুবহু একইভাবে ফিল্ম প্রযোজক নীরজ গ্রোভারকে নৃশ্ংসভাবে খুন করা হয়েছিল।

কী হয়েছিল যার জন্য এমন নৃশ্ংসভাবে হত্যা করা হল ওই বায়ুসেনা আধিকারিক বিপিন শুক্লাকে? উত্তরপ্রদেশের গোন্ডার বাসিন্দা বিপিন ভাটিন্ডার বাযুসেনা ঘাঁটিতে পোস্টিং ছিলেন। বছর ২৭-এর ওই যুবকের সঙ্গে ২০১৪ সালে পরিচয় হয় সুলেশের স্ত্রী অনুরাধার। বাযুসেনা আধিকারিকদের আবাসনেই থাকতেন দু’জনে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে দু’জনের। ইতিমধ্যেই অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ে অনুরাধা। তখন সে বিপিনকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু আগে থেকে বিবাহিত হওয়ার দরুন অনুরাধাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন বিপিন। ২০১৬ সালে বিপিনের স্ত্রী কুমকুম ভিসিয়ানার বায়ুসেনা আবাসনে স্বামীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। তখনই নিরুপায় হয়ে স্বামী সুলেশকে ঘটনার কথা জানায় অনুরাধা। এরপরই বিপিনকে খুন করার ছক কষে সুলেশ।

Advertisement

(কুলার তৈরির গুদামে বিধ্বংসী আগুন, মৃত কমপক্ষে ৬)

সুলেশকে ওই আবাসনেরই অন্য একটি অ্যাপার্টমেন্ট থাকার জন্য দেয় কর্তৃপক্ষ। ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখ সুলেশ বিপিনকে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে ডেকে পাঠায় জিনিসপত্র গোছগাছে সাহায্য করার জন্য। বিপিন এলে সুলেশ, অনুরাধা এবং শশী তাঁকে ধারালো ছুরি দিয়ে খুন করে দেহ একটি লোহার ট্রাঙ্কের মধ্যে পুরে দেয়। নতুন অ্যাপার্টমেন্টে যাওয়ার সময় ১৯ তারিখ বিপিনের মৃতদেহকে টুকরো টুকরো করে ১৬টি প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে আলমারি এবং ফ্রিজের মধ্যে রেখে দেয় তারা। বিপিন বাড়ি না ফেরায় ৯ ফেব্রুয়ারি বাধ্য হয়ে পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁর স্ত্রী কুমকুম। এরপর তদন্তে নামে বল্লাউনা থানার পুলিশ। ভাটিন্ডার এসএসপি স্বপন শর্মা জানিয়েছেন, বাযুসেনা আবাসনে স্নিফার কুকুর নিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। গন্ধ শুঁকেই কুকুর বিপিনের মৃতদেহর হদিশ দেয়। সুলেশের ঘরের আলমারি ও ফ্রিজ থেকে ১৬টি প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। পলাতক শশীর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

Advertisement

(নয়া মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন মোদি)

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ