Advertisement
Advertisement

Breaking News

ইদ

৩৭০ ধারা বাতিলের পর চিত্র বদল, ভূস্বর্গে নির্বিঘ্নেই পালিত খুশির ইদ

শ্রীনগরে নমাজের পর সম্প্রীতি বজায় রাখতে স্থানীয়দের মধ্যে মিষ্টি বিলি করে পুলিশ।

After Eid prayers, restrictions reimposed in most parts of Kashmir Valley
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:August 12, 2019 11:13 am
  • Updated:August 12, 2019 11:17 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার রাত থেকে ফের নিরাপত্তার ঘেরাটোপে ঢেকেছে ভূস্বর্গ। ইদকে সামনে রেখে কোথায় যাতে কোনও অশান্তি না হয় তার জন্য নতুন করে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। শ্রীনগর-সহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় টহলদারি চালাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এর মাঝে সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন মসজিদে ইদ-উল-আজার নমাজ পড়ল আট থেকে আশি। সকাল ১০টা পর্যন্ত কোথাও কোনও অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি। বরং শ্রীনগরের বিভিন্ন মসজিদে নমাজের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে মিষ্টি বিলি করতে দেখা যায় পুলিশ আধিকারিকদের। তবে ইদের নমাজের পরে আবার বেশকিছু জায়গা নতুন করে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে খবর।

[আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় সিবিএসই দশম-দ্বাদশে পরীক্ষার ফি দ্বিগুণ, তফসিলিদের জন্য বাড়ল ২৪ গুণ]

যদি রবিবার রাতে শ্রীনগর-সহ জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় মাইকে করে ফের নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ঘোষণা করা হয় সেনা ও পুলিশের তরফে। প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে সাধারণ মানুষদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যেতে বলা হয় বিক্রেতাদের। অশান্তির ঘটনা এড়াতে শ্রীনগরের বড় মসজিদগুলিতে জমায়েত করে নামাজ না পড়ে বাড়ির পাশে থাকা ছোট মসজিদে নামাজ পড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। জেলবন্দি থাকা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিকেও পাশের মসজিদে নমাজ পড়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। যদি বিষয়টিকে কেন্দ্র করে নতুন করে আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। কয়েকদিন আগেই ইদ ও স্বাধীনতা দিবসের মধ্যে জঙ্গি হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

সোমবারের বিশেষ নমাজের পর কিছু কিছু জায়গা অশান্তি হতে পারে বলেও খবর পাওয়া গিয়েছিল। তাই শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে ইদের নমাজ পড়তে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছিল প্রশাসনের সামনে। সেই দায়িত্ব পালনের জন্য সতর্কতা গ্রহণ করেছিল প্রশাসন। গত শুক্রবারের নমাজ শান্তিপূর্ণ ভাবেই মিটিয়েছিল তারা। এরপরের লক্ষ্য ছিল সোমবারের নমাজ। তাই যে সমস্ত এলাকায় পাথর ছোঁড়ার ঘটনা আগে বারবার ঘটেছে, সেই সমস্ত এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শেক্সপিয়র না শশী থারুর! কংগ্রেস সাংসদের টুইট দেখে বোঝা দায়]

শ্রীনগরের জেলাশাসক শাহিদ চৌধুরি টুইট করে জানিয়ে ছিলেন, ‘আমরা চাই সাধারণ মানুষ নিবির্ঘ্নে ইদ উদযাপন করুক। তাই কিছু সময়ের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা শিথিল করা হয়েছিল। কিন্তু, পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে বেরিয়ে না যায়, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হচ্ছে। তাই ইমামদের স্থানীয় মসজিদগুলিতে নমাজের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ