সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দোলের পরেই সংসদে আলোচনা করা হবে দিল্লি হিংসা নিয়ে। বিরোধী দলগুলির বিক্ষোভের মুখে পড়ে মঙ্গলবার এই কথাই জানান সংসদের স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি দাবি করেন, “সরকার আলোচনার জন্য প্রস্তুত। ১১ মার্চের পরে এই বিষয়ে আলোচনা হবে সংসদে।”
বসন্ত উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। তবে দোলের উৎসবের আমেজ ফিকে করে দিচ্ছে দিল্লির রক্তাক্ত হিংসার প্রতিচ্ছবি। দিল্লির হিংসা ও তার আলোচনা নিয়ে এদিনও সংসদে দাবি জানায় বিরোধী দলগুলি। সোমবারের উত্তেজনার পর স্পিকার ওম বিড়লা সর্বদলীয় বৈঠক করেন ও দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। স্পিকার বলেন, “বিরোধী দল বা ট্রেজারি বেঞ্চের কোনও সদস্য কার্যনির্বাহী সময়ে নিয়ম লঙ্ঘন করলে অধিবেশনের অবশিষ্ট অংশের জন্য তাকে বরখাস্ত করা হবে।” স্পিকার সভায় সদস্যদের প্ল্যাকার্ড না নিয়ে আসতেও অনুরোধ করেন। ওম বিড়লা জানান, “সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে সমস্যা যত গুরুতরই হোক না কেন তা প্রশ্নোত্তরের পরেই তা উত্থাপিত হবে।”
তবে সর্বদলীয় বৈঠকের পরই সংসদে উত্তেজনা বাড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ওম বিড়লা হুঁশিয়ারি দেন, “বিরোধী ও ট্রেজারি উভয় পক্ষের সদস্যরা পুরো অধিবেশনের জন্য বরখাস্ত থাকবেন।” কিন্তু কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি কক্ষের পাশে ট্রেজারি বেঞ্চগুলির দিকে হেঁটে চলে যান। ফলস্বরূপ তুমুল হইচইয়ের মধ্যে বিজেপি এবং কংগ্রেস সদস্যদের বচসার পরে, ওম বিড়লা অধিবেশন মুলতুবি করেন। এরপরই হোলির পরে আলোচনা করার কথা ঘোষণা করেন স্পিকার। তবে তাঁর এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ সংসদের সদস্যরা। সদস্যরা চেয়ারে লিফলেট এবং কাগজের বল ছোঁড়াছুড়ি করেন। অনেকেই প্রতিবাদ জানাতে কক্ষের মাঝখানে ছুটে যান।
[আরও পড়ুন: ‘আতঙ্কিত হবেন না’, করোনা সংক্রমণের আবহে টুইটারে দেশবাসীকে আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর]
সোমবারই দিল্লি হিংসা নিয়ে আলোচনা চেয়ে কংগ্রেস, তৃণমূল এবং আপ সদস্যরা গান্ধীমূর্তির কাছে পৃথক পৃথক ধরনা মঞ্চস্থ করেন। চোখে কালো কাপড় বেধে ধরনা মঞ্চে দেখা যায় তাদের। গত সপ্তাহের এই ভয়াবহ হিংসায় দিল্লিতে ৪৭ জনের বলি হয়েছে। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে অনেকেরই সারা জীবনের শেষ সম্বলটুকু। বিধ্বংসী হিংসার আগুনে ক্ষতিগ্রস্তে হয়েছে দিল্লির বহু স্কুল-কলেজ।