সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন শেষ হয়েছে সোমবার। বৃহস্পতিবার ফল গণনা। তার ঠিক আগেই বিস্ফোরক অভিযোগ অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav)। মঙ্গলবার বিকেলে টুইটারে তিনি দাবি করলেন, বারাণসী থেকে নাকি EVM সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল । তাঁর এহেন দাবি ঘিরে গণনার ৪৮ ঘণ্টার আগেই সরগরম উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, অখিলেশের দাবি, তাঁরা ৩০০-রও বেশি আসনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসবেন। যদিও বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল (Exit Polls 2022) বলছে উত্তরপ্রদেশে ফের সরকার গঠন করবে বিজেপিই।
ঠিক কী অভিযোগ অখিলেশের? তাঁর টুইট থেকে পরিষ্কার, তিনি দাবি করছেন বারাণসীর এই ঘটনা ইঙ্গিত দিচ্ছে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। অখিলেশকে লিখতে দেখা গিয়েছে, ”বারাণসীতে ইভিএম ধরা পড়ার সংবাদ উত্তরপ্রদেশের প্রতিটি বিধানসভাকেই সতর্ক থাকার বার্তা দিচ্ছে। ভোট গণনায় কারচুপির চেষ্টা নস্যাৎ করতে এসপি-জোটের সব প্রার্থী ও সমর্থকদের ক্যামেরা নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে। যুব গণতন্ত্র ও ভবিষ্যৎ রক্ষায় ভোট গণনায় সৈনিক হয়ে উঠুন!”
वाराणसी में EVM पकड़े जाने का समाचार उप्र की हर विधानसभा को चौकन्ना रहने का संदेश दे रहा है।
मतगणना में धांधली की कोशिश को नाकाम करने के लिए सपा-गठबंधन के सभी प्रत्याशी और समर्थक अपने-अपने कैमरों के साथ तैयार रहें।
युवा लोकतंत्र व भविष्य की रक्षा के लिए मतगणना में सिपाही बने!
— Akhilesh Yadav (@yadavakhilesh) March 8, 2022
[আরও পড়ুন: গদি হারাতে পারেন ইমরান খান! পাক প্রধানমন্ত্রীকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিল বিরোধীরা]
যদিও অখিলেশের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন জেলাশাসক কৌশলরাজ শর্মা। তাঁর অভিযোগ, কোনও কোনও দল এই ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তিনি অবশ্য ইভিএম নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করছেন। তবে তাঁর দাবি, এই যন্ত্রগুলি গণনার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের প্রশিক্ষণেই ব্যবহৃত হয়। এবং এগুলি কোনও ভাবেই ভোটের সময় ব্যবহার করা হয়নি। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছে, যে ইভিএমগুলিতে গণনা হয়েছে, সেগুলি এখন স্ট্রং রুমে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায়।
এদিকে অখিলেশ কেবল ইভিএম চুরির অভিযোগই তোলেননি। পাশাপাশি এগজিট পোলকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। তাঁর মতে, ইভিএম চুরির থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই এই ধরনের বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছে। তাঁর খোঁচা, ”এই এগজিট পোলগুলির খরচ কারা দেয়?” তাঁর ইঙ্গিত থেকে পরিষ্কার, তিনি বিজেপিই কাঠগড়ায় তুলতে চাইছিলেন।