Advertisement
Advertisement

সম্মানজনক আসন বন্টন নাহলে একলা চলো, আশঙ্কা জাগিয়ে বার্তা ‘বহেনজি’র

লোকসভায় ডানা মেলতে পারবে তো ফেডারেল ফ্রন্ট?

alliance only if it was given a respectable number of seats or else would contest alone: Mayawati
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 27, 2018 1:39 pm
  • Updated:May 27, 2018 1:39 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯-এ মোদি-শাহ জুটিকে কি ধাক্কা দিতে পারবে নয়া ফেডারেল ফ্রন্ট? নাকি আধপাকা অবস্থাতেই খসে পড়তে হবে হবে তাকে? কয়েকদিন আগে পর্ষন্ত সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও, এখন কিন্তু সেই প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে। আর এই আশঙ্কার মেঘ সৃষ্টি করেছেন বিজেপি বিরোধী এই জোটের অন্যতম মুখ তথা বহুজন সমাজ পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী। জোটের অন্যান্য সদস্যদের বার্তা দিয়ে তাঁর সাফ কথা, হয় সম্মানজনক আসন বন্টন নয়তো ‘একলা চলো রে’ নীতি।

[গগনদীপই একজন সত্যিকার ভারতীয়, কুর্নিশ বিদ্যা-ফারহানের]

Advertisement

২০১৯-এর লোকসভার লড়াইকে মাথায় রেখে বিজেপি বিরোধী জোট গড়তে তৎপর দেশের সমস্ত বিরোধী দলগুলি। যার স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যায় সম্প্রতি কর্ণাটকের মখ্যমন্ত্রী পদে এইচডি কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। একমঞ্চে উপস্থিত হন দেশের সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। রাজ্যস্তরে বিরোধ থাকলেও বিজেপির বিরুদ্ধে জাতীয় স্তরে কাছাকাছি এসেন তাঁরা। সেজন্যই একই মঞ্চে দেখা যায়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে কাছাকাছি আসেন মুলায়ম সিং যাদবের সপা ও মায়াবতীর বিএসপি। প্রমাণিত হয়েছে রাজনীতি মানে ‘শেখের মুরগি পোষা’। যেখানে নেই কোনও চিরকালীন বন্ধু বা চিরকালীন শত্রু। ২০১৯-এর যুদ্ধে নামার আগে হাত ধরাধরি করে ছবি দেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী থেকে শুরু করে চন্দ্রবাবু নায়ড়ু, স্টালিন, লালুপুত্র তেজস্বী প্রত্যেকেই। বার্তা স্পষ্ট বিরোধী জোট তৈরি, সাবধান মোদি!

Advertisement

[ভোটারদের ঘুষ দিচ্ছে বিজেপি, অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ শিব সেনা]

কিন্তু সত্যিই কি তৈরি জোট? আশঙ্কা জাগাচ্ছেন বিএসপি সুপ্রিমো। শনিবার দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দেন ‘বহেনজি’ মায়াবতী। বক্তৃতায়, যেকোনও পরিস্থিতির জন্য কর্মীদের তৈরি থাকার নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, জাতীয় ও রাজ্যস্তরের নির্বাচনগুলিতে জোট করে লড়াইয়ের জন্য ইতিমধ্যেই আলোচনা চলছে। তবে যদি সম্মানজনক আসন বন্টন হয়, তবেই জোট হবে। নাহলে একাই লড়বে দল। মায়াবতীর এই মন্তব্যই জোট রাজনীতির ভবিতব্য নিয়ে আশঙ্কা তৈরি করেছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মনে। তবে কি মোদি-শাহ ও বিজেপি নেতাদের কটাক্ষই ঠিক হবে? ডানা মেলতে শুরু করলেও ২০১৯-এর লোকসভায় উড়তে পারবে না ফেডারেল ফ্রন্ট।

[কীভাবে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে ঢোকে জঙ্গিরা? গোয়েন্দাদের জেরায় মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য]

‘অব কি বার মোদি সরকার’- এই স্লোগান দিয়ে ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের হাইটেক প্রচারে ঝড় তুলেছিল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি। তখন মূল প্রতিপক্ষ ছিল কংগ্রেস। ইস্যু ছিল তাদের দশ বছরের শাসনকালে একাধিক কেলেঙ্কারি। তবে এখন চিত্রটা ঠিক উলটে গিয়েছে। ক্ষমতায় মোদি সরকার। আর এখন তাদের প্রতিপক্ষ কংগ্রেস-সহ উদীয়মান ফেডারেল ফ্রন্ট। যেখানে একজোট হচ্ছে বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাদের হাতে রয়েছে সরকার বিরোধী একাধিক ইস্যু। ২০১৪-তে যেটা ছিল একের বিরুদ্ধে এক লড়াই। এবার সেটা হচ্ছে অনেকের বিরুদ্ধে একের লড়াই। রাজনৈতিক মহলের মতে, মুখে স্বীকার না করলেও মোদি-শাহরা ভালই বুঝতে পারছেন ২০১৯-এ লড়াইটা সহজ হবে না। তাই হয়তো তড়িঘড়ি নেমে পড়লেন লড়াইয়ের ময়দানে। বেঁধে দিয়েছেন ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের গেরুয়া শিবিরের মন্ত্র ‘সাফ নিয়ত, সহি বিকাশ। ২০১৯ পে ফির মোদি সরকার।’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ