সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত এক দশকে এরকম ভয়াবহ হামলার মুখোমুখি হতে হয়নি অমরনাথ যাত্রীদের। ২০১৭ সাক্ষী থাকল সে ঘটনার। নিরাপত্তার বেষ্টনী সত্ত্বেও দর্শনার্থীদের বাসে হামলা চালাল জঙ্গিরা। এই পুরো হমলার ছক কষেছিল যে জঙ্গি, সে আবু ইসমাইল।
কে এই আবু ইসমাইল? এতবড় হামলা চালানোর রসদ সে পেল কোথা থেকে?
[ ‘হিন্দু বলেই মৃত্যু অমরনাথ যাত্রীদের, কেন এ কথা বলা হচ্ছে না?’ ]
জানা যাচ্ছে, ইসমাইল হল দক্ষিণ কাশ্মীরের লস্কর-ই-তৈবার স্থানীয় কমান্ডার। পাকিস্তানের বাসিন্দা ইসমাইল লস্কর জঙ্গি আবু দুজানার উত্তরসূরি। কাশ্মীরে লস্কর জঙ্গিদের কার্যকলাপ বিস্তারের দায়িত্ব পড়েছিল তার উপর। সেইমতো ঘাঁটি সাজিয়েছিল এই জঙ্গি। অমরনাথ যাত্রীদের উপর হামলার ছক ছিল আগেই, আইবি গোয়েন্দারা এ ব্যাপারে সতর্কও করেছিল। যদিও তার পরও ঘটে গেল এই মর্মান্তিক ঘটনা। এমনিতে কড়া নিরাপত্তার সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেনি জঙ্গিরা। কিন্তু আক্রান্ত বাসটি খানিকটা নিয়ম লঙ্ঘন করতেই সুযোগ পেয়ে যায় এই তারা। বাসটির অমরনাথ বোর্ডে রেজিস্ট্রেশন ছিল না বলেই জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি টায়ার পাংচার হওয়ার দরুন সন্ধেয় নির্দিষ্ট সময়ের পরও বাসটি ছিল হাইওয়ের কাছাকাছি। ফলে সহজ সুযোগ পেয়ে যায় জঙ্গিরা।
[ ‘পাকিস্তান মুর্দাবাদ’ স্লোগানে পূণ্যার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদ মুসলিমদের ]
তবে স্থানীয়দের সাহায্য ছাড়া যে এ কাজ সম্ভব হত না তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জানা যাচ্ছে, স্থানীয় বিক্ষুব্ধ কাশ্মীরিদের দীর্ঘদিন ধরে মগজধোলাই করেছিল এই জঙ্গি। বাড়িয়েছিল তার প্রভাব। এদিনের হামলাতেও তাই স্থানীয়দের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছে সে। সম্প্রতি স্থানীয় কাশ্মীরীদের বাহিনীতে যোগ দেওয়াচ্ছিল লস্কর। ফলত স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে যোগাযোগটা জোরদার হয়। সেই জোরকে কাজে লাগিয়েই অমরনাথ যাত্রীদের উপর হামলা চালায় এই জঙ্গি। হিজবুল মুজাহিদিন বাহিনীর থেকেও সে সমর্থন পেয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে।
আপাতত এই জঙ্গির ছবি প্রকাশ করে খোঁজ চালানো হচ্ছে।
[ ‘কাশ্মীরি পন্ডিতদেরই বাস উঠল, হিন্দুরা সুরক্ষিত থাকবে কীভাবে?’ ]